শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

টি-টোয়েন্টিতে এগিয়ে গেল শ্রীলংকা

images

ক্রীড়া প্রতিবেদক ।। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে খুব সহজেই জিতেছে শ্রীলংকা। এ জয়ে তারা ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল। গতকাল কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে স্বাগতিকরা ৬ উইকেটে বাংলাদেশকে পরাজিত করে। প্রথমে ব্যাট করা বাংলাদেশের ১৫৫ রানের জবাবে শ্রীলংকা ৪ উইকেট হারিয়ে তুলে নেয় ১৫৮ রান। টসে জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশকে দ্বিতীয় বলেই ধাক্কাটা দেন লাসিথ মালিঙ্গা। তবে খেলার শুরুতেই নামে বৃষ্টি। আর সে বৃষ্টি থামার পর এই পেসারের ইন কাটার বলে মিডল স্টাম্প হারান তামিম। তখনো বাংলাদেশ ইনিংসে কোন রান যোগ হয়নি। সে ধাক্কা সামাল দেন সৌম্য সরকার এবং সাব্বির রহমান। দ্বিতীয় উইকেটে এ দুজন যোগ করেন ৫৭ রান। কিন্তু এক ওভারেই ফিরেন দুজন। একেবারে অপ্রয়োজনে রান আউট হয়ে যান সাব্বির। প্রসান্নার সরাসরি থ্রোতে রান আউট হয়ে ফিরে আসার আগে ১৪ বলে ১৬ রান করেন সাব্বির। একই ওভারের পঞ্চম বলে সানজায়ার বলে ফিরেন সৌম্য সরকার। ২০ বলে ২৯ রান করেন এই ওপেনার। চার বলের ব্যবধানে দুই সেট ব্যাটসম্যান ফিরে আসার পর উইকেটে আসেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান সাকিব এবং মুশফিক। কিন্তু ব্যর্থ হলেন দুজনই। গুনারত্নের বলে স্কুইপ খেলতে গিয়ে বোল্ড হন মুশফিক। তিনি করেন ৮ রান। সাকিবও পারলেননা দায়িত্ব নিতে। ফিরলেন ১১ রান করে। প্রসান্নার বলে গুনারত্নের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন সাকিব। বাংলাদেশের রান তখন ৮২। এরপর উইকেটে আসেন মোসাদ্দেক এবং মাহমুদুল্লাহ। অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহর সাথে তরুণ মোসাদ্দেক চেষ্টা করেন দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। ৫৭ রান যোগ করে বিচ্ছিন্ন হন দুজন। দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে প্রথম বলেই মালিঙ্গা ফেরান মাহমুদুল্লাহকে। ২৬ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ৩১ রান করে বোল্ড হন মাহমুদুল্লাহ। তবে একপ্রান্ত ধরে রেখে দলকে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করেন মোসাদ্দ্‌েক। মেস পর্যন্ত তার অপরাজিত ৩০ বলে ৩৪ রানের সুবাধে ১৫৫ রানে গিয়ে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। লংকানদের পক্ষে ২টি উইকেট নিয়েছেন মালিঙ্গা। একটি করে উইকেট নিয়েছেন সানজায়া, গুনারত্নে এবং প্রাসান্না।

জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের খুব সহজভাবেই মোকাবেলা করে লংকানরা।

যদিও শুরুতেই চমকে দিতে চেষ্টা করেন মাশরাফি। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে দিয়ে বোলিং শুরু করেন। দুই বাঁহাতি ওপেনারকে প্রথম ওভারটি দারুণ করেন এই অফ স্পিনার। রান দেন মাত্র ২। কিন্তু দ্বিতীয় ওভার থেকেই ভিন্ন চিত্র শ্রীলংকার। তাসকিনের ওভারে উপুল থারাঙ্গা মারলেন তিনটি চার। মাশরাফি ও মোস্তাফিজ পরের দুই ওভারে একটু সামাল দিলেও সাকিবের ওপর চড়াও হলেন কুশল পেরেরা। ওভারে মারলেন দুই চার, এক ছক্কা। ৫ ওভারে শ্রীলংকা তুলে নেয় বিনা উইকেটে ৪৬। থারাঙ্গা-কুশল জুটির প্রথমজন বিচ্ছিন্ন হন দলীয় ৬৫ রানে। থারাঙ্গাকে ফিরিয়ে দেন মাশরাফি। ঝড় তোলা উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গেন তিনি। কাট করতে চেয়েছিলেন থারাঙ্গা। বুঝতে পেরে মাশরাফি দেন োয়ার। বলটি লাফিয়েও উঠল একটু। থারাঙ্গা ব্যাট ছোঁয়ালেন। বল গেল শর্ট থার্ডম্যানে। সামনে ঝাঁপিয়ে দারুন ক্যাচ নেন মোস্তাফিজ। মাশরাফি এর পর ফেরান তিনে নামা দিলশান মুনাবিরাকেও। তার কাটারে বিভ্রান্ত মুনাবিরা দেন ফিরতি ক্যাচ। ফলো থ্রুতে অনায়াসে হাতে জমিয়ে নেন মাশরাফি। ৮ রান করেন মুনাবিরা। এরপর গুনারত্নেকে রান আউট করে ফিরিয়ে দেন সাব্বির। ১৮ বলে ১৭ রান করেন তিনি। এর মধ্যেই ওপেনার কুশল পেরেরা পেয়ে যান তার অর্ধশতক। ৫৩ বলে ৭৭ রান তোলা এই ওপেনারকে শেষ পর্যন্ত থামান তাসকিন আহমেদ। মিড অফে সৌম্যের হাতে ক্যাচ দেন কুশল। তখন দলীয় রান ১৪৭। বাকী কাজটুকু সেরে নেন প্রাসান্না এবং থিসারা পেরেরা। ৭ বল বাকী থাকতেই দলকে ১৫৮তে পৌঁছে দেন। প্রাসান্না ২২ এবং থিসারা অপরাজিত থাকেন ৪ রানে। মাশরাফি ২টি এবং তাসকিন ১টি উইকেট নিলেও বাকিরা থাকেন উইকেট শূন্য। ম্যান অব দি ম্যাচ হন কুশল পেরেরা।