শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

জয়ার ‘ভালোবাসার শহর’

নাটক ও চলচ্চিত্রের গুণী অভিনেত্রী জয়া আহসান। অভিনয় দ্যুতি ছড়িয়েছেন পাশের দেশ ভারতেও। কাজের খাতিরে কখনো ঢাকা কখনো কলকাতায় থাকতে হচ্ছে তাকে। দুই শহরেই রয়েছে তার ভক্তঅনুরাগী ও ভালোবাসার মানুষ। জয়ার ভালোবাসার শহর এবার উঠে এসেছে তারই চলচ্চিত্রে।

৩০ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অনলাইনে মুক্তি পেলো জয়া আহসান অভিনীত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ভালোবাসার শহর’। ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরী পরিচালিত ৩০ মিনিট দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। চরিত্রটির নাম অন্নপূর্ণা দাশ। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর এক সংগ্রামী নারীর গল্প বলা হয়েছে ছবিটিতে।

কলকাতার বিভিন্ন স্থানে চিত্রায়িত হয়েছে ছবির দৃশ্যগুলো। জয়ার মতে, ‘ভালোবাসার শহর’ নির্দিষ্ট কোনও শহরের গল্প নয়। এটা আসলে পৃথিবীর যে কোনও শহরের গল্প। মাত্র তিরিশ মিনিটের ছবিটিকে আক্ষরিক অর্থেই ‘অন্নপূর্ণা’র মতো আগলে রেখেছেন জয়া আহসান।

গতকাল ১ জুলাই ছিল জয়ার জন্মদিন। এর একদিন আগেই ভক্তদের উপহার দিয়েছেন পছন্দের ছবি। স্বল্পদৈর্ঘ্যের হলেও চলচ্চিত্রটি নিয়ে বেশ আপ্লুত তিনি। বললেন, ‘ফিল্মটা যদিও একটা শর্টফিল্ম তবু এখানে বড় একটা কথা বলা হয়েছে। মনোযোগী দর্শকদেরই ছবিটা অনেক ভালো লাগবে। দর্শকদের ভাবাবে ছবিটা। আমি প্রত্যাশা করবো, অন্য কাজ করতে করতে কিংবা রিক্সায় ঘুরতে ঘুরতে ছবিটা না দেখতে। আমি অনুরোধ করবো জীবন থেকে ত্রিশটা মিনিট বের করে ছবিটা দেখতে। যেহেতু এটা মনযোগী দর্শকের ছবি তাই এর কাছে শুধু বিনোদন চাইলে ভুল করা হবে। ছবিটা শেষ পর্যন্ত দেখলেই বোঝা যাবে ছোট একটা ছবি দিয়ে অনেক বড় কথা বলা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘দর্শকদের কাছে সরাসরি ছবিটা পৌঁছে দিতে পারছি এটা অনেক বড় ব্যাপার। ছবিটার বিষয়বস্তু যা তা নিয়ে হয়তো অনেকেই বড় ফিল্ম করার সাহস পাবে না। সে জন্যই মুক্তির জন্য অনলাইন মাধ্যমটা বেছে নিয়েছি আমরা। এ ছবি শুধু বাঙালি দর্শক নয়, এটা আসলে পৃথিবীর যে কোনো শহরের গল্প। সে গল্পটার নাম দেয়া হয়েছে ভালোবাসার শহর। ’ জয়া জানালেন, শুধু বাংলাদেশ ও ভারতের দর্শকরাই ইউটিউবে দেখতে পাবেন চলচ্চিত্রটি। পৃথিবীর অন্যদেশের দর্শকদের জন্য ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে অনলাইট প্লাটফর্ম ভিমোতে।

দুই বাংলার চলচ্চিত্রেই সমানতালে সময় দিচ্ছেন জয়া। ঈদ কাটছে দেশেই। টিভিতে ঈদ অনুষ্ঠানগুলো খুব মনযোগ দিয়ে দেখতে চাইছেন জয়া। বললেন, টিভি প্রোডাকশানে তো সেরকম নেই এখন আর আমি। দেখার চেষ্টা করছি টিভি অনুষ্ঠানগুলো। বিজ্ঞাপনের সাথে যতটুকু পেরে ওঠা যায় আরকি…’