শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

জাতীয় পরিচয়পত্রে যুক্ত হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধার খেতাব

জাতীয় পরিচয়পত্রে মুক্তিযোদ্ধার নামের পাশে খেতাব যুক্ত করার সুযোগ আনছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা যায়।

সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাবেদ আলী সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমদকে একটি প্রস্তাব দিয়েছেন। যেখানে তিনি ভোটার তালিকায় খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নামের পাশে খেতাব উল্লেখের সুযোগ রাখার কথা বলেছেন।
ভোটার তালিকা অনুযায়ীই জাতীয় পরিচয়পত্রে নাগরিকের নাম লিপিবদ্ধ করা হয়।

জানা যায়, ভোটার তালিকা আইন-২০০৯ অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি পদবি বা খেতাবসহ তার নাম ভোটার তালিকায় উল্লেখ করতে পারতেন। তবে ভোটার তালিকা (সংশোধিত) আইন-২০১৩ অনুযায়ী, কোনো নাগরিক কেবল জন্ম সনদ, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী সনদ বা জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেটে উল্লেখিত নামই ভোটার তালিকায় নাম হিসেবে লিপিবদ্ধ করতে পারেন।

তবে এই আইন বলবৎ হওয়ার আগে যারা পদবি বা খেতাব উল্লেখ করেছেন, তাদের ক্ষেত্রে সেই খেতাব বা পদবি থাকতে সমস্যা নেই। কিন্তু এই আইন বলবৎ হওয়ার পর অর্থাৎ, ২০১৩ সালের পর থেকে কেউ আর পদবি বা খেতাব ব্যবহার করতে পারেন না।

এদিকে আদালতের এক রায়ে জাস্টিসদের নাম ভোটার তালিকায় উল্লেখ করার সময় ‘বিচারপতি’ যুক্ত করার নির্দেশ দেন। ২০১১ সালে দায়ের করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ২০১২ সালে এ নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী, সম্প্রতি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক নাঈমা হায়দার ও মির্জা হোসেইন হায়দারের নামের আগে ‘বিচারপতি’ যুক্ত করার বিষয়টি অনুমোদন দেয় নির্বাচন কমিশন।

জাবেদ আলী তার প্রস্তাবে উল্লেখ করেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান অনস্বীকার্য থাকবে চিরকাল। মুক্তিযুদ্ধে যারা বীরত্বের পরিচয় দিয়ে জীবন বাজি রেখে খেতাবপ্রাপ্ত হয়েছেন, তাদের নামের সঙ্গে প্রাপ্ত খেতাব, যেমন-বীর প্রতীক, বীর বিক্রম, বীর উত্তম লেখার অনুমতি দেওয়া সঙ্গত বলে মনে হয়।’

তিনি এ প্রস্তাবনাটির অনুলিপি অন্য চার নির্বাচন কমিশনারের কাছেও পাঠিয়েছেন। এতে জাবেদ আলী বিষয়টির উপর সব নির্বাচন কমিশনারদের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণও করেছেন।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ বলেন, আইনে না থাকলেও আদালতের নির্দেশে বিচারপতি পদবি লেখার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে অন্য কোনো পেশার ক্ষেত্রে পদবি লিখতে দেওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের খেতাব উল্লেখ করার সুযোগ দেওয়া উচিত। কমিশন বৈঠক করে এ বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।