শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

চা খেলে কালো হয় না, রোগ নিরাময় হয়!

খবরিকা ডেক্সঃ সেই ছোট থেকেই শুনে আসছি কথাটা। প্রথমটায় বিশ্বাস হত না। কিন্তু বড় হওয়ার পর চায়ের আড্ডায় যখন কেউ এই পানীয়টি খেতে মানা করত, তখনই সমবেত কণ্ঠে বাকিরা সেই একই কথা বলে উঠত,”দেখ দেখ চা খাচ্ছে না, পাছে কালো হয়ে যায়।” সেই থেকে কথাটা যেন মাথায় পেরেকের মতো বসে গেছে। আচ্ছা সত্যিই কি এমনটা হয়? নাকি এটা একটা ভ্রান্ত ধারণা? চলুন খোঁজ লাগানো যাক।
চা এবং গায়ের রংঃ
চা খেলে যদি বাস্তবিকই কেউ কালো হয়ে যেত, তাহলে তো ইংরেজ এবং আইরিশদের গায়ের রং আগে চেঞ্জ হত। কিন্তু এমনটা তো হয়নি। দিনে ১০-১২ কাপ খেলেও না। তাহলে? আসলে কে কালো হবে, কে ফর্সা তা অনেকাংশেই নির্ভর করে ত্বকের অন্দরে থাকা মেলানিন নামে একটি উপাদানের উপর। আর এমন কোনও গবেষণা আজ পর্যন্ত হয়নি যা প্রমাণ করে যে চা খেলে মেলানিনের পরিমাণ বেড়ে যায়, ফলে ত্বক কালো হতে শুরু করে। তাই চা খেলে কালো হয়ে যাব- এই ধরণাটাকে কতটা গুরুত্ব দেওয়া যে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। প্রসঙ্গত, জিনগত কারণ এবং রোদে কতটা সময় কাটানো হচ্ছে, এই দুটি বিষয়ের উপর গায়ের রং অনেকাংশেই নির্ভর করে থাকে। প্রসঙ্গত, আমাদের শরীরকে ভাল রাখতে লিকার চা এবং গ্রিন টি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই কোনও কারণেই চা-কে ভিলেন বানানো চলবে না কিন্ত!

চায়ে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টঃ
একাধিক রোগের উপসমে এই উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। প্রসঙ্গত, পরিবেশ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বক এবং শরীরকে বাঁচাতেও এই উপাদনটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো একথা বলতেই হয় যে, সুস্থ এবং সুন্দর থাকতে প্রতিদিন লাল চা অথবা গ্রিন টি খাওয়া শুরু করুন।

হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমেঃ
একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে প্রতিদিন ২-৩ কাপ গ্রিন টি পান করলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা প্রায় ২০ শাতংশ এবং স্ট্রোকের সম্ভাবনা প্রায় ৩৫ শতাংশ হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে কমে হাই কোলেস্টেরলের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও।
হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটেঃ
একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে প্রতিদিন গ্রি-টি খেলে হাড় মজবুত হয়। সেই সঙ্গে এই সম্পর্কিত নানাবিধ রোগের প্রকোপও কমে।
দাঁত সুন্দর হয়ে ওঠেঃ
জাপানে হওয়া এক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে লিকার চা পান করলে মুখ গহ্বরে পি এইচ লেভেল বেড়ে যায়। ফলে ক্যাভিটি হওয়ার আশঙ্কা কমে। শুধু তাই নয়, আরও বেশ কিছু মুখ গহ্বরের রোগ সারাতেও লিকার চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়ঃ
হার্বাল চা খাওয়ার অভ্যাস করলে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রম, বদ-হজম সহ একাধিক পেটের রোগের প্রকোপ হ্রাস পায়। তাই যারা এমন কোনও রোগে ভুগছেন, তারা আজ থেকেই হার্বাল টি খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন দারুন উপকার পাবেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়ঃ
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে লিকার চা পান করলে আমাদের শরীরে ইমিউন সেলের কর্মক্ষমতা বেড়ে যায়। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটাই বেড়ে যায় যে নানাবিধ সংক্রমণের আশঙ্কা বহুলাংশে হ্রাস পায়।