মো: সাইফ উদ্দিন ফরহাদ: চট্টগ্রাামে প্রথম বারের মত ১৮ নভেম্বর রোজ শুক্রবার সকাল ১১টায় নরেন আবৃত্তি একাডেমির ৩৯৫, মোহাম্মদ আলী রোডের কার্যালয়ে বৃহৎ পরিসরে আয়োজন করা হয় “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নরেন বিশ্বাস স্মরণে-বাংলার সেই মানুষটি” শিরোণামে স্মৃতিকথন ও আবৃত্তি অনুষ্ঠান। মো: সাইফ উদ্দিন ফরহাদের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির পরিচালক মিশফাক রাসেল। নরেন বিশ্বাসের লিখা ও তাঁকে নিবেদন করে লিখা কবিতা আবৃত্তি এবং তাঁর সমসাময়িক শ্রদ্ধেয়ভাজন শিক্ষক, ছাত্র, সহপাঠী, সুহৃদের কলমে উঠে আসা নানা মূহুর্ত রোমন্থনে অংশগ্রহণ করেন প্রতিথযশা আবৃত্তিকার মো: দিদারুল আলম, সৈয়দ হোসেন বাবু, মিতাশা মাহারীন, রিপন ধর, শেখ ফাহাদ, অজয় চক্রবর্তী, আবদুল্লাহ আল মাসুম, সেতু দাস, মং ওয়াই সিং, রাফাহ্ নানজিবা তোরসা, মো: মহসিন, জান্নাতুল মাওয়া, আফ্রিদা জাইমা নিলান্তী, আনিকা ফেরদৌস, মারিয়া খানম ইরিনা প্রমূখ। তাঁদের অনবদ্য পরিবেশনা উপস্থিত দর্শক শ্রোতাদের স্মৃতির ভেলায় ভাঁসিয়ে নিয়ে পৌঁছে দেয় নরেন বিশ্বাসের সময়ে। নরেন হয়ে উঠেন আমাদেরই একজন। নতুন করে একে একে ধরা দিতে থাকে বিশিষ্ট বাচীক শিল্পী, ভাষাবিদ, আবৃত্তি শিল্পী , নাট্য শিল্পী, সংস্কৃতিমনা, ক্রীড়াপ্রেমী, আপোষহীন নরেন বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাপণ একাডেমির সদস্যবৃন্দ। সংগঠনের পরিচালক মিশফাক রাসেল সভাপতির বক্তব্যে নরেন বিশ্বাসের সামগ্রিক জীবনপ্রবাহ তুলে ধরেন। তাছাড়া নরেন বিশ্বাসের নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে কতটা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়েছে তা আলোকপাত করে তিনি বলেন,“আজ যে নরেন আবৃত্তি একাডেমি আবৃত্তি জগতে যুগান্তাকারি অনুষ্ঠান উপহার দিয়ে ভুয়সি প্রশংসা কুঁড়িয়ে বেড়াচ্ছে। এ সংগঠনের অতীত ইতিহাস এতোটা মধুর নয়। ১৬ বছর আগে যখন অধ্যাপক নরেন বিশ্বাসের নামে আমাদের এ সংগঠনের নামকরণ করা হয়েছিল তখন বিভিন্ন মহলে সৃষ্টি হয়েছিল নানারকম বিতর্ক। আর অতিক্রম করতে হয়েছে বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধকতা” নামকরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,“ আবৃত্তি যেহেতু সার্বজনীন শিল্প মাধ্যম তাই নরেন বিশ্বাসকে সকলের মাঝে বাংলা ভাষার সার্বজনীন উচ্চারণবিদ হিসেবে তুলে ধরার জন্য নামকরণ করা হয় নরেন আবৃত্তি একাডেমি।”। এছাড়া আগামী দিন থেকে অধ্যাপক নরেন বিশ্বাসের স্মরণে আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, গুণিজন সম্মাননা ও বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণার মধ্যামে তিনি অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানেন।