খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, দশম সংসদে তাদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। তাই আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপির স্থান হবে না।আজ শনিবার সেগুনবাগিচায় বীর উত্তম খাজা নিজাম উদ্দিন মিলনায়তনে ‘জনতার প্রত্যাশা’ নামের একটি সামাজিক সংগঠন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। চলমান রাজনীতি ও বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।সংগঠনের সভাপতি এম এ করিমের সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সদস্য সুজিত রায় নন্দী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ বক্তব্য দেন।বিএনপির মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি প্রসঙ্গে কামরুল ইসলাম বলেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনের স্বপ্ন কখনো বাস্তবায়িত হবে না। সংবিধান অনুযায়ী ২০১৯ সালে নির্বাচন হবে। এ নির্বাচনও হবে সংবিধান অনুযায়ী। বাংলাদেশে আর কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু হবে না। তিনি বলেন, বিএনপি হুমকি দিচ্ছে কঠোর থেকে কঠোর আন্দোলন করে সরকার পতন ঘটাবে। আমি বলতে চাই, ২০১৩ সালের শেষের দিকের মত সহিংস কোনো তান্ডব করলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর থেকে কঠোরতর হবে।বিএনপিকে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করার আহ্বান জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, নিয়মতান্ত্রিক পথে হাঁটলে আপনাদের জন্য মঙ্গল হবে। অনিয়মতান্ত্রিক পথে হাঁটেন আপনাদের কপালে ভয়াবহ দুর্ভোগ আছে।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম ও তাঁদের দলের নেতারা জঙ্গিবাদের মুখপাত্র হিসেবে কথা বলেন, দাবি করে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিশ্ববাসী জানে আওয়ামী লীগ সরকার জঙ্গীবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে না। বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় থেকে যে ভাবে জঙ্গিবাদকে লালন করেছে তাও বিশ্ববাসী দেখেছে। তারা ক্ষমতায় থাকালীন আল-কায়েদার প্রধান জাওয়াহারি বাংলাদেশ সফর করেছিলেন বলে আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। আর এ সরকার ক্ষমতায় থাকলে জঙ্গিদের অসুবিধা হয়। তাই তাদের মুখপাত্র হিসেবে বিএনপি সরকার পতনের কথা ও বিষোদগার করছে।সভা থেকে কামরুল ইসলাম শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ায় পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাই এবং ভারতের কৈলাস সত্যার্থীকে অভিনন্দন জানান।