নারায়ণগঞ্জ ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ নিহত সাতজনের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন দুলাল চন্দ্র চৌধুরীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার এ রিপোর্ট হস্তান্তর করা হয়। এর পর তিনি সাত খুনের ঘটনায় পাঁচ লাশের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান।
পাঁচজন হলেন-নজরুল ইসলাম, অ্যাড. চন্দন সরকার, মনিরুজ্জামন স্বপন, তাজুল ইসলাম ও চন্দনের গাড়ি চালক ইব্রাহীম। প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, তাদের পাঁচজনকে একই কায়দায় হত্যা করা হয়েছে। প্রথমে মাথায় আঘাত করা হয়। তারপর গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। নিহতদের বুকে ও আঘাত করা হয়। তাদের সবাইকে হত্যার পরে পেটের নাভীর পাশে ছিদ্র করে দেয়া হয়। যাতে লাশ ফুলে ভেসে না ওঠে।নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. দুলাল চন্দ্র চৌধুরী জানান, লাশ পাওয়ার ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা আগে নারায়ণগঞ্জ ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। একটি পেশাদারী গ্রুপ এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে জানান তিনি।নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আসাদুজ্জামান মিয়া প্রাথমিকভাবে জানান, নিহতদের মরদেহের ময়নাতদন্ত করার ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা আগে তাদের হত্যা করা হয়। নির্যাতন ও শ্বাসরোধ করে এদের সাতজনকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।গত ২৭ এপ্রিল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জন ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন। এর ৩ দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে সাতজনেরই মরদেহ।