বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

৬.২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস বিশ্বব্যাংকের

index_162326
চলতি অর্থবছরের শেষপর্যায়ে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়াবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। অন্যদিকে মূল্যস্ফীতি হবে ৭ শতাংশ। মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংক কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট-২০১৪’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট আপডেট প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইউহানেস জাট। এছাড়া অর্থনীতিবিদ সালমান জাইদি, রিসার্স এ্যানালিস্ট নাদিম রিজওয়ান ও যোগাযোগ কর্মকর্তা মেহরীন এ মাহবুব উপস্থিত ছিলেন।সংস্থাটি এর প্রতিবেদনে বলেছে, ২০১৫ সালে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ২ শতাংশ হওয়ার কারণ হচ্ছে- সরকারিভাবে অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রেমিটেন্স বৃদ্ধি ও বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমা। ২০১৫ সালের মার্চ পর্যন্ত এ প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। খাতভিত্তিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি হবে ২ শতাংশ, শিল্প খাতে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ এবং সেবা খাতে ৬ দশমিক ১ শতাংশ। ব্যয়ের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে ভোগ বেড়ে দাঁড়াবে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। বিনিয়োগ হবে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ, রপ্তানি ৬ শতাংশ ও আমদানি ২ শতাংশ হবে।এতে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে মূল্যস্ফীতি হবে ৭ শতাংশ, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি সঠিক পথেই আছে। বলা হয়েছে প্রথম তিন মাসে রেমিটেন্স খাতে ২১ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, এটি সন্তোষজনক। রোজা ও কোরবানীর ঈদের কারণে অভ্যন্তরীন খুচরা ব্যয় বেড়েছে। ১০ থেকে ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দুই ঈদে মানুষ ব্যয় করেছে। বন্যা হওয়ার পরও শস্য উৎপাদন ভাল। জুলাই- আগস্ট মাস পর্যন্ত এনবিআরের ১৫ শতাংশ রাজস্ব আদায় ভাল লক্ষণ।২০১৫ সালে সার্বিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের কথা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ব্যাংক ঋণের বেশিমাত্রার সুদের হার ও লক্ষমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় হবে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা আবার ফিরে আসলে বিনিয়োগ কমার পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। পোশাকখাতের ঝুকি ও মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিকদের কর্মসংস্থান বাড়ানোকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে বিশ্বব্যাংক।