মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

৬ মাসের মধ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার নিষ্পত্তি

images2_211893
ছয় মাসের মধ্যে বহুল আলোচিত একুশে আগষ্টের গ্রেনেড হামলা মামলার নিষ্পত্তি হতে পারে বলে সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত।সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, আইনমন্ত্রী কমিটিকে জানিয়েছেন- মামলার যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। আদালত নিয়মিত বসছে। মামলা নিষ্পত্তিতে ৬ মাস বা তার চেয়ে কম সময়ে লাগবে।বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে এই ঘটনার তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হয় বলে অভিযোগ ওঠে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৮ সালের ৯ জুন ২২ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। এরপর বিচার শুরু হয়ে ৬১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন দ্রুতবিচার আদালত। তদন্ত শেষে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী জামায়াত নেতা আলী আহসান মুজাহিদসহ আরও ৩০জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। ২০১১ সালে তিনি অভিযোগপত্র দেয়ার পর নতুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত জানান, বিভিন্ন মামলায় পুলিশের পাশাপশি কমিশনও তদন্তের ক্ষমতা চেয়েছে। তবে কমিটি তাতে সম্মতি দেয়নি। আমরা বলেছি, আইন অনুযায়ী পুলিশ তদন্ত করবে। যদি কোন মামলায় মানবাধিকার বিচ্যুতির ঘটনা ঘটে তবে সে বিষয়ে কমিশন তাদের রিপোর্ট দেবে।তিনি বলেন, কমিশন তাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দাবী করেছে। এব্যাপারে কমিটি একমত পোষণ করেছে। নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মতো তাদের অর্থনেতিক স্বাধীনতা দেওয়ার সুপারিশ করেছে।সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে কমিটির সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, জাতীয় পার্টির জিয়াউল হক মৃধা এবং সফুরা বেগম উপস্থিত ছিলেন। ২০০৪ সালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালান হয়। ওই ঘটনায় ২৪ জন নিহত হন এবং কয়েক শত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী আহত হন। আহতদের মধ্যে কমিটি সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্তও ছিলেন।