কালো পতাকা মিছিলে শান্তিপূর্ণ শোডাউনের পর সারা দেশে ২০ দলের প্রতিবাদ সমাবেশ আজ। জাতীয় সমপ্রচার নীতিমালার প্রতিবাদে সারা দেশে এ প্রতিবাদ সমাবেশে ব্যাপক লোক সমাগমের ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বিরোধী জোট। কেন্দ্রীয় সমাবেশটি হবে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা খালেদা জিয়া। সমাবেশে সরকারের অনিয়ম ও অপকর্মের সমালোচনার পাশাপাশি নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিরোধী জোটের আন্দোলনের যৌক্তিকতা তুলে ধরবেন তিনি। অন্যদিকে জেলা ও মহানগরগুলোতে একই ইস্যুতে প্রতিবাদ সমাবেশের পাশাপাশি হবে প্রতিবাদ মিছিল। ১৬ই আগস্ট শান্তিপূর্ণ কালো পতাকা মিছিলে ব্যাপক লোক সমাগমের পর চাঙ্গাভাব এসেছে বিএনপির তৃণমূলে। আজকের কর্মসূচিতে সে ধারাবাহিকতা রক্ষার মাধ্যমে তৃণমূলে প্রাণচাঞ্চল্য তৈরি করতে চান বিরোধী জোটের কেন্দ্রীয় নেতারা। এ জন্য আজকের প্রতিবাদ সমাবেশকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে গত এক সপ্তাহ ধরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, ঢাকা মহানগর ও প্রতিটি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। প্রস্তুতি বৈঠক করেছেন দফায় দফায়। মঙ্গলবার দুপুর দুইটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ শুরু হবে। কালো পতাকা মিছিলের পর আনুষ্ঠানিক আবেদনের প্রেক্ষিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতিও পেয়েছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। সমাবেশের একদিন আগে গতকাল পুলিশের পক্ষ থেকে ‘মৌখিক অনুমতি’ পাওয়ার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে থেকে আমরা মৌখিক অনুমতি পেয়েছি। পুলিশ থেকে জানানো হয়েছে, লিখিত চিঠি সন্ধ্যায় পাঠাবে। এদিকে গতকাল এক বিবৃতিতে বিএনপি, অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন ও জোটের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ রাজধানীবাসীকে সমাবেশে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ এ আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি দেশব্যাপী কর্মসূচিটি সফল করতে দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান। ওদিকে ব্যাপক লোকসমাগমের প্রস্তুতি হিসেবে ঢাকা মহানগর বিএনপির পাশাপাশি প্রতিটি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে চালানো হয়েছে জোর তৎপরতা। বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তাগিদ ও মহানগর কমিটি পুনর্গঠনকে কেন্দ্র করে নিরলস প্রস্তুতি নিয়েছেন মহানগরের প্রতিটি থানা কমিটির নেতারা। মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল জানান, প্রতিবাদ সমাবেশে মহানগরের প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ড থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থক যোগদান নিশ্চিত করতে নেতাকর্মীরা কাজ করছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন- প্রতিবাদ সমাবেশে লোকসমাগম কালো পতাকা মিছিলের সমাগমকে ছাড়িয়ে যাবে।