১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায় প্রহসন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ সকালে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। পুলিশের নজিরবিহীন অভিযানে আটকের পর কারাগারে ছিলেন রিজভী। দীর্ঘ ৬১দিন পর তিনি দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। এসময় কার্যালয়ের কর্মচারি ও দলের নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, যারা অস্ত্র ধরল তাদের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে আদালত। এই রায় বিরোধী দলকে রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন করার সুগভীর ষড়যন্ত্র। বিভিন্ন জায়গায় নেতাকর্মীদের লাশ পাওয়া যাচ্ছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, গ্রেপ্তার করে বিনা বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। আন্দোলন ধীরে ধীরে তীব্র হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারকে বিদায় করা হবে।
রিজভী বলেন, বাংলাদেশের অনেক জেলা বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর যেসব সদস্য নিজ দেশের মানুষকে এভাবে হত্যা করছে, তারা কী এই দেশের সন্তান? তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের আটক করার পর ক্রসফায়ারের নাটক সাজিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। এই গুপ্তহত্যা দীর্ঘায়িত হলে আইনের শাসন ও সরকারের প্রতি শ্রদ্ধা হারিয়ে ফেলবে জনগণ, যদিও ইতিমধ্যে দেশ ও বিদেশী বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এর প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন। তিনি বলেন, নামমাত্র নির্বাচনে মাধ্যমে ক্ষমতায় বসে সরকার তরবারি ঘুরাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মনে করছেন, উটপাখির মতো বালুর ভেতরে মাথা ঢুকিয়ে থাকলেই জনগণ কিছু দেখে না। নিজের গ্রেপ্তারের ঘটনা বর্ণণা করে তিনি বলেন, সেদিন অকুতভয় গণমাধ্যমকর্মীরা না থাকলে আমার জীবন নাশের আশঙ্কা ছিল। কারণ তারা যেভাবে গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর হামলা ও ক্যামেরা ভাঙচুর করেছে তাতে মনে হয়েছিল তাদের ভিন্ন উদ্দেশ্য ছিল। দলের আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, অর্থ সম্পাদক আবদুস সালাম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন। গত ২৯শে নভেম্বর মধ্যরাতে দলের কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার হন রিজভী। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি।