চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় দায়ের করা দুই মামলার ৫১৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। গত ৩০শে জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক এস এম মজিবুর রহমান এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। দুটি মামলার মধ্যে একটিতে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াসহ ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। আদালতে রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ মামলা। এ মামলায় রাষ্ট্রের সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা সাক্ষ্য দিয়েছেন। এমনকি প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই) ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা পরিদপ্তরের (এনএসআই) কর্মকর্তারা সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ধরনের ঘটনা বিশ্বের আর কোথাও ঘটেছে কি না সন্দেহ। পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের কথা শুনেও নীরব ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) মহাপরিচালক সাদিক হাসান রুমী তাকে অস্ত্র আটকের তথ্য জানিয়েছিলেন। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের কথা উল্লেখ করে পর্যবেক্ষণে বলা হয়, এ ঘটনা নিয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলেন। কমিটিতে পাঁচজন সদস্য ছিলেন, যাদের তিনজনই এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ইমামুজ্জামানও সাক্ষ্য দিয়েছেন। দুই মামলার দুই পৃষ্টার পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, যে পরিমান অস্ত্র আনা হয়েছিল তা দিয়ে ছোটখাট একটি ক্যান্টনমেন্ট গড়ে তোলা যেতো। একটি বা দুটি অস্ত্রের বিষয়ে যে রায় দেয়া হয় এ রায়ে এমনটি ভাবার সুযোগ নেই।