আগামী ৫ই জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন বাতিলের দাবিতে ১লা জানুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ ডেকেছে বিরোধী জোট। এছাড়া বিরোধী নেতা খালেদা জিয়াকে মার্চ ফর ডেমোক্রেসির কর্মসূচিতে যেতে বাধা দেয়ায় আগামীকাল সারা দেশে বিক্ষোভ করবে ১৮ দল। রাতে রাজধানীর বারিধারার বাসভবনে তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পয়লা জানুয়ারি ভোর ছয়টা থেকে অবরোধ কর্মসূচি শুরু হবে এবং পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। এছাড়া বিরোধী দলের ডাকা মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচিতে বাধা দেয়ার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সারা দেশের জেলা-উপজেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে ১৮ দল। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন বাতিল করে সমঝোতায় আসারও আহ্বান জানিয়ে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, খালেদা জিয়া ভোটের অধিকার রক্ষার জন্য ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচি দিয়েছেন। তিনি লগি-বৈঠা নিয়ে ঢাকায় আসতে বলেননি। কিন্তু গণতন্ত্রের লেবাসধারী এই সরকার কাউকে ঢাকায় ভিড়তে দিচ্ছে না। পথে পথে হয়রানি করছে। মানুষকে ঢাকায় কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। ৩১শে ডিসেম্বরের বিক্ষোভ কর্মসূচিকে সবাইকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানান তিনি। সরকারের উদ্দেশে সুপ্রিম কোর্টের এ সিনিয়র আইনজীবী বলেন, স্বৈরশাসক সরকার শুধুমাত্র সংবিধানের দোহাই দিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চায়। কিন্তু অতীতের কেউই বলপ্রয়োগ করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। এই সরকারও পারবে না। খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, সরকার মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে। কিন্তু তারা রোববার মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম ও সোমবার আরেক মুক্তিযোদ্ধা ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শমসের মবিন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে স্বৈরাচারী আচরণ করেছে। খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আমরা জানি অবরোধ কর্মসূচি নিয়ে নেত্রী অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। কিন্তু দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলবে। অবরোধে বাধা দেয়া হলে পরিণাম হবে কঠোর ও ভয়াবহ।