আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের দেয়া বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিযোগ প্রমাণের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে ছাত্রলীগ। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ গতকাল রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বক্তব্য অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত। আলোচনা সভায় ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে তিনি যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত গতকাল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছাত্রলীগের কমিটি বাণিজ্য নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘শাহ্জালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিহত সুমনের পরিবারকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। তারা আজন্ম আওয়ামী লীগ পরিবার। তারপরও ছাত্রলীগের কেন্দ্র থেকে কিভাবে বলা হলো, তিনি ছাত্রলীগের কেউ নন? এ নিয়ে সিলেটবাসীর সঙ্গে আমারও কষ্ট। প্রধানমন্ত্রীকে বলবো, সিলেটে লন্ডন-ফন্ডনের ব্যাপার আছে। আপনি ছাত্রলীগের কমিটি বাণিজ্য নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। যেটি আপনার কাছে থাকবে।’সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এ বক্তব্যের জবাবে বিবৃতিতে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, যে কোন জায়গায় সকল গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে তার সঙ্গে বসতে চাই এবং তাকে প্রমাণ করতে হবে যে, সিলেটের কমিটিতে বাণিজ্য হয়েছে, নতুবা তার বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি। বিবৃতিতে তিনি বলেন, তিনি (সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত) একজন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা এবং আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র। তার কাছ থেকে বাংলার ছাত্রসমাজ এ ধরনের বক্তব্য প্রত্যাশা করে না। তার উচিত ছিল একটু ভেবে-চিন্তে বক্তব্য দেয়া।উল্লেখ্য, শাহ্জালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে এক ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হওয়ার পর অন্য এক অনুষ্ঠানেও এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, সিলেট গিয়ে ছাত্রলীগকে একবার রাবিশ বলে আসতে। একই সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীকে সেখানে গিয়ে কেঁদে আসারও পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি।