সিরিয়ায় আট ব্যক্তিকে শিরশ্ছেদর নতুন একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে কট্টর ইসলামপন্থী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রোববার প্রকাশিত ওই ভিডিওতে দেখা যায়, সিরিয়ার কেন্দ্রস্থল হামায় আইএস যোদ্ধারা শিয়া মুসলিম ওই ব্যক্তিদের শিরশ্ছেদ করছে। খবর ফক্স নিউজ, নিউইয়র্ক পোস্ট ও ডেইলি মেইলের।গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হচ্ছে, আইএসের প্রকাশিত ভিডিওটি তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে ব্রিটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, ভিডিওটির সত্যতা রয়েছে। গত বছর ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল অংশ দখলে নেয়ার পর থেকে আইএস যোদ্ধারা অনেক মানুষের শিরশ্ছেদ এবং পুড়িয়ে হত্যার ভিডিও প্রকাশ করেছে। এ মাসের শুরুতে তিন ইরাকি কুর্দি পেশমারগা যোদ্ধার শিরশ্ছেদর ভিডিও প্রকাশ করে আইএস। আইএসের প্রকাশিত ভিডিওটিতে দেখা যায়, একটি ফাঁকা মাঠের মধ্যে কয়েকজন ব্যক্তিকে কমলা রঙের কাপড় পরিয়ে চোখ কালো কাপড় দিয়ে এবং হাত পেছনে নিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। কমলা রঙের কাপড় পরিহিত ব্যক্তিরা মাথা নিচু করে রয়েছেন এবং কয়েকজন কিশোর তাদের পেছনে অস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এরপর তারা আটক ব্যক্তিদের আইএসের একটি যোদ্ধা দলের কাছে হস্তান্তর করে। একপর্যায়ে কালো কাপড় পরিহিত এক বালকের কাছ থেকে দা নেয়ার পর আইএস যোদ্ধারা ওই ব্যক্তিদের শিরশ্ছেদ করে।ভিডিওতে এক আইএস যোদ্ধা বলে, তাদের বিরুদ্ধে চলমান সেনা অভিযান শুধু তাদেরই শক্তিশালী করবে। শিয়াদের ক্ষতিকর এবং অবিশ্বাসী হিসেবেও আখ্যায়িত করে এ সুন্নিপন্থী যোদ্ধা।এদিকে লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ন্যাশনাল নিউজ অ্যাজেন্সি ইউনেস হুজাইরি নামের এক ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে জানাচ্ছে, সিরিয়া সীমান্তের কাছে আসর থেকে জানুয়ারিতে ইউনেসকে অপহরণ করা হয়। সুন্নিপন্থী ইউনেসের পরিবার জানায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ওই ভিডিওচিত্রে তারা দেখেছে, এক আইএস যোদ্ধা ইউনেসের ক্ষতিবিক্ষত মাথা বহন করছে। কিন্তু ইউনেসের পরিবারের এ তথ্যে সন্দেহ রয়েছে, কেননা আইএস দাবি করছে, তারা যাদের হত্যা করেছে তারা সবাই শিয়া মুসলিম।