মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

সালাহ উদ্দিনের জন্য এবার ৪৮ ঘণ্টার হরতাল

pic-19_199975

দুই মাসের বেশি টানা অবরোধ ও ছুটির দিন ছাড়া হরতাল চালিয়ে আসা বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট তাদের সর্বশেষ ৭২ ঘণ্টার হরতাল আরো ৪৮ ঘণ্টা বাড়িয়েছে। ফলে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত চলবে হরতাল। এবার ৪৮ ঘণ্টা হরতাল বাড়ানো হয়েছে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ফেরত দেওয়ার দাবিতে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জোটের পক্ষে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বরকতউল্লা বুলু এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান। তিনি আরো জানান, হরতালের মধ্যেই কাল বৃহস্পতিবার সারা দেশে ২০ দলীয় জোটের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল হবে। এ ছাড়া শুক্রবার সারা দেশে সব মসজিদে সালাহ উদ্দিনের জন্য দোয়া এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনা করার জন্যও সবার কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে।বিবৃতিতে বরকতউল্লা বুলু বলেন, ‘অনতিবিলম্বে সালাহ উদ্দিনকে তাঁর পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়ার দাবিতে আমরা ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে আগামীকাল বুধবার (আজ) ভোর ৬টা থেকে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত দেশব্যাপী অবরোধের পাশাপাশি ৪৮ ঘণ্টার হরতাল আহ্বান করছি।’বুলু বলেন, চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসন করতে এবং জনগণের ভোটের অধিকারসহ অন্যান্য গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। সিভিল সমাজ ও পেশাজীবীসহ দেশের প্রায় সব গণতান্ত্রিক মহল এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও আলোচনার পথে সংকট নিরসনের আহ্বান জানিয়ে আসছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন ‘নির্বাচনী প্রহসনের’ মাধ্যমে ক্ষমতা করায়ত্তকারী সরকার কোনো আহ্বানেই সাড়া দেয়নি। বরং তারা হত্যা, গুম, অপহরণ, জুলুম-নির্যাতন ও গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সৃষ্টি করা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি অব্যাহত রেখে তথাকথিত উন্নয়নের ধারার নামে তাদের অবৈধ শাসন এবং লুটপাট ও দুর্নীতির ধারাকেই প্রলম্বিত করতে চাইছে।বুলু আরো বলেন, বিএনপির অন্যতম যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ‘গ্রেপ্তার করে’ নিয়ে যাওয়ার পর সাত দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত তাঁকে মুক্তি দেওয়া কিংবা আদালতে হাজির করা হয়নি। অতি সম্প্রতি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকনসহ দেশব্যাপী আরো অনেক নেতা-কর্মীর ক্ষেত্রেও একই ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সালাহ উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের কথা অস্বীকার করে সরকারের পক্ষ থেকে সাজানো গল্প ফাঁদা হয়েছে এবং শীর্ষ পর্যায় থেকে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করা হয়েছে। এতে তাঁর পরিবারের ও দলের উৎকণ্ঠা তীব্র হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতে উপস্থাপন করার কথা আমরা বলেছি। কিন্তু তাঁর মতো একজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাকে উধাও করে ফেলার মতো ধৃষ্টতা কোনো ক্রমেই মেনে নেওয়া যায় না।