বঙ্গোপসাগরের ১০ ও ১১ নম্বর ব্লকে গ্যাসের বড় একটি স্তর পাওয়া যেতে পারে। ওই দুটি ব্লকে তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানের কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক কম্পানি কনোকো-ফিলিপস। কম্পানিটি তাদের দ্বিমাত্রিক জরিপের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে অগ্রগতি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সরকারের জ্বালানি বিভাগকে। সেখান থেকে এ তথ্য জানা গেছে। কনোকো-ফিলিপসের প্রতিবেদন সত্য হলে বাংলাদেশের গভীর সমুদ্রে এটাই হবে প্রথম কোনো গ্যাসক্ষেত্র।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল বুধবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘তাদের অগ্রগতি প্রতিবেদন আমরা পেয়েছি। সুখবরটি আমি প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে চাই।’২০১১ সালের ১৬ জুন কনোকো-ফিলিপসের সঙ্গে পেট্রোবাংলা প্রডাকশন শেয়ারিং কনট্রাক্ট (পিএসসি) বা উৎপাদন অংশীদারত্ব চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরের দুটি ব্লকের পাঁচ হাজার ১৫৮ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান করবে কম্পানিটি। ৯ বছর মেয়াদি এ চুক্তিতে তিন ধাপে জরিপ ও খননকাজ চালানো হবে। এ জন্য কম্পানিটি ১৬ কোটি ইউএস ডলার ব্যাংক গ্যারান্টিও দিয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ২৮০ কিলোমিটার দূরে এই ব্লক দুটির অবস্থান। গত এপ্রিল মাসে কনোকো-ফিলিপস জানিয়েছিল, ব্লক দুটি থেকে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। এ কারণে তারা থ্রি-ডি বা ত্রি-মাত্রিক জরিপ চালাবে সেখানে। তবে এ বক্তব্যের মাত্র দুই মাসের মাথায় কনোকো-ফিলিপস সেখানে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনার কথা জানাল মন্ত্রণালয়কে।১০ ও ১১ নম্বর ব্লকে তেল-গ্যাস পেলে চুক্তি অনুযায়ী তার ৮০ শতাংশ মালিকানা পাবে কনোকো- ফিলিপস। চুক্তিতে আরো বলা হয়েছে, ওই দুটি ব্লক থেকে আহরিত তেল-গ্যাস সরকারি সংস্থা পেট্রোবাংলা বা বাংলাদেশের কোনো বেসরকারি সংস্থা কিনতে রাজি না হলে কনোকো-ফিলিপস বিদেশে রপ্তানি করতে পারবে।