বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

সাগরিকায় বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে প্রথম চ্যালেঞ্জ

49856_s2

 

চট্টগ্রামের মাটিতেই বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট জয়ের মুখ দেখেছে। তাতে প্রথম প্রতিপক্ষ ছিল জিম্বাবুয়ে। তবে ২০০৫ সালের সেই ম্যাচের পর চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশর আর কোন টেস্ট খেলেনি। তবে এবার দেখাটা নতুন করে। শেষ দেখা হয়েছিল এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে। কিন্তু এবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। এই মাঠে জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে। বাংলাদেশের সামনে এই চ্যালেঞ্জে ইতিহাস গড়ার হাতছানি। জিম্বাবুয়েকে হারাতে পারলেই দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইটওয়াশ করার স্বপ্ন পূরণ হবে। আর ৯ বছর পর চট্টগ্রামের মাটিতে টেস্ট জয়ের পাশাপাশি জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামেও প্রথম টেস্ট জয়ের রেকর্ড গড়বে বাংলাদেশ। এর আগে বাংলাদেশ এই মাঠে ১২টি টেস্ট খেলে পরাজয়ের মুখ দেখেছে ৮টিতে। আর ড্র করেছে ৪ বার।
সাগরিকায় প্রথম টেস্ট অনুষ্ঠিত হয় ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। প্রথম টেস্টেই ৮ উইকেটের হার দিয়ে শুরু করে বাংলাদেশ। একই বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইনিংস ও ৮০ রানের ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। পরের বছরই ২০০৭ সালে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ড্র হয় ভারতের বিপক্ষে। ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আবারও ইনিংস ও ২০৫ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজয়। তবে সেই বছরই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কঠিন লড়াই করে ৩ উইকেটে হেরে যায় টাইগাররা। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আবারও ৪৬৫ রানের বড় ব্যবধানে পরাজয়। ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮১ রানের পরাজয়। তবে ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই মাঠে দ্বিতীয় ড্র হলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে ইনিংস ও ১৮৪ রানের ব্যবধানে হার। এরপর ২০১৩ ও ১৪ বাংলাদেশের জন্য বেশ সুখকর বছরই বলা চলে। ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আর ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ড্র করে বাংলাদেশ। এই মাঠে বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি টেস্ট খেলেছে শ্রীলঙ্কা। আর দুইবার মুখোমুখি হয়েছে নিউজিল্যান্ড।
বল হাতে সাগরিকায় ১০ ম্যাচে ৩৯টি উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের দু’টিতেই আতঙ্কের নামও এই সাকিব আল হাসান। তাই চট্টগ্রামের লাকি গ্রাউন্ডে সাকিবকে আরও ভয়ঙ্কর রূপে দেখা যেতে পারে। ব্যাট হাতেও এই সাগরিকায় সর্বোচ্চ সংগ্রহকারী টেস্ট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। তার সংগ্রহ ৯ ম্যাচে ১টি সেঞ্চুরি ও ৫টি ফিফটিতে ভর করে ৭২৩ রান। তবে সাকিব ব্যাট হাতেও অলরাউন্ড পারফরমেন্স দেখিয়েছেন সাগরিকায়। ১০ ম্যাচে কোন সেঞ্চুরি না থাকলেও ৫টি ফিফটিতে ভর করে তার ৪৯১ রান। তার অবস্থান তৃতীয় স্থানে। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ে সিরিজে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফর্মে ফেরা চট্টগ্রামের ছেলে তামিম ইকবাল এখনও নিজ মাটিতে সেঞ্চুরি পাননি। তার ব্যাট থেকে ৩টি ফিফটিতে ভর করে এসেছে ৯ ম্যাচে ৪৬৪ রান। তাই সবারই প্রত্যাশা সাগরিকায় তামিম হয়তো এবার চট্টগ্রামবাসীর আক্ষেপ দূর করবেন।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম টেস্ট রেকর্ডস
ম্যাচ: ১২টি
বাংলাদেশ জয়: ০
হার: ৮টি
ড্র: ৪টি
সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ: ইংল্যান্ড ৫৯৯/৬ ডি. প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ
সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ বাংলাদেশ: ৫০১, প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড
সেরা বোলিং: সাকিব ৭/৩৬ উইকেট প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড ২০০৮
সর্বোচ্চ জুটি: প্রথম উইকেটে ৪১৪ রান ম্যাকেঞ্জি ও স্মিথ দক্ষিণ আফ্রিকা ২০০৮
সর্বোচ্চ উইকেট শিকার: সাকিব আল হাসান ৩৯টি
সর্বোচ্চ রান: মুশফিকুর রহীম ৭২৩ রান, ১টি সেঞ্চুরি ও ৫টি ফিফটি
সর্বোচ্চ রান: সাঙ্গাকারা ৩১৯ রান ২০১৪ সাল।