দুই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় কার্যকর করায় চট্টগ্রামে আনন্দ মিছিল করেছে গণজাগরণ মঞ্চ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ।
শনিবার দিনগত রাতে ফাঁসির রায় কার্যকর করার পর তাৎক্ষণিকভাবে নগরীর চেরাগি পাহাড় মোড়ে মিছিল বের করা হয়। এসময় মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
গণজাগরণ মঞ্চ, চট্টগ্রামের সমন্বয়ক শরীফ চৌহান বাংলানিউজকে বলেন, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী প্রতারণার মাধ্যমে আদালতকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল। তার পরিবারও সময়ক্ষেপণের জন্য প্রতারণা আর ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছিল। কিন্তু সব ষড়যন্ত্রের অবসান হয়েছে। চট্টগ্রাম আজ আনন্দে ভাসছে।
সাকার ছেলে দেখা করতে চেয়ে সময় নষ্ট করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, সাকা’র ফাঁসি কার্যকরের মাধ্যমে চট্টগ্রাম কলঙ্কমুক্ত হয়েছে।
একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সাকা চৌধুরীকে ফাঁসির দণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ২৯ অক্টোবর আপিল করেন সাকা। তবে সর্বোচ্চ সাজার প্রেক্ষিতে আপিল করেননি রাষ্ট্রপক্ষ। গত ১৮ নভেম্বর সেই আবেদন খারিজ করে ফাঁসির দণ্ড বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
শনিবার রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান সাকা। কিন্তু রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পাননি বিভিন্ন কটূক্তি করে সমালোচনার তুঙ্গে থাকা সালাউদ্দিন কাদের। যদিও কারাগারে তার সঙ্গে দেখা করে ছেলে হুম্মাম বলেছেন, তার বাবা প্রাণভিক্ষা চাননি। রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে সাকা চৌধুরী ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়।