সিদ্ধ চাল রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে নাম লেখাতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। যদিও এত দিন ধরে সুগন্ধি চাল রপ্তানি করে আসছে সরকার। গতকাল অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ৫০ হাজার টন সিদ্ধ চাল রপ্তানির প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, শ্রীলঙ্কা আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ। পরীক্ষামূলকভাবে দেশটিতে চাল রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই রপ্তানির ফলে দেশে চালের কোন সঙ্কট হবে কি-না বা চালের বাজারে কোন প্রভাব পড়বে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, কোন সমস্যা হবে না। দেশে বর্তমানে ১১ লাখ টন চালের মজুত আছে। আন্তর্জাতিক বাজার দর বিবেচনায় রেখে উভয় দেশ মিলে এই চালের দাম ঠিক করবে। বাংলাদেশ থেকে সিদ্ধ চাল আমদানির প্রথম প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশে নিযুক্ত শ্রীলঙ্কা হাইকমিশন। সরকার থেকে সরকার পর্যায়ে কলম্বো বন্দরের মাধ্যমে এ চাল নিতে চায় দেশটি। বাংলাদেশ তো চাল আমদানিকারক দেশ, তাহলে রপ্তানি করবে কিভাবে?- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা নিজের শরীরে থাকা জামার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, এই শার্টের কাপড় আমরা বিদেশ থেকে আমদানি করি। শার্ট তৈরি করে আবার রপ্তানি করি। এ রকমও তো আছে। এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এবং রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক প্রমুখ।