সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত প্রাণের বইমেলাকে আরো সুন্দর ও দর্শনার্থীদের জন্য উপযোগী করে আয়োজনের অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে পর্দা নামলো মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলার।ভাষা আন্দোলনের অমর স্মৃতিকে স্মরণ করতে এবং সারাদেশে বাংলা ভাষার সৃজনশীল ধারাকে ছড়িয়ে দিতে বাংলা একাডেমি নিয়মিতভাবে আয়োজন করে আসছে এ মেলার। শনিবার মাসব্যাপী এ মেলা শেষ হলো। লেখক-পাঠক-ক্রেতা-প্রকাশক সর্বসাধারণের পদচারণায় মুখরিত ছিল বাংলা একাডেমির এই মেলা প্রাঙ্গণ।শেষ দিন উপলক্ষে বাংলা একাডেমির পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, সকাল ১১টায় খুলে যায় মেলার দ্বার। এরপর থেকেই বইপ্রেমীরা ভিড় জমাতে শুরু করেন মেলার দুই প্রাঙ্গণেই। বিকেলের পর সেই ভিড় পরিণত হয় জনসমুদ্রে। বন্ধু-বান্ধব, পরিবার-পরিজনকে সঙ্গে করে সকলে ঘুরে দেখেছেন শেষ দিনের মেলা। ঘরে ফেরার পথে সঙ্গী করে নিয়ে গেছেন নতুন বইটি।শনিবার মেলা মঞ্চে ছিল সমাপনী আয়োজন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি সচিব রণজিত্ কুমার বিশ্বাস। এর আগে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। মেলা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন মেলা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন একাডেমির সভাপতি ইমেরিটাস প্রফেসর আনিসুজ্জামান।এবার প্রবাসে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের চর্চায় অবদানের জন্য সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ পুরস্কার পেয়েছেন ইকবাল হাসান ও সৈয়দ ইকবাল। চিত্তরঞ্জন সাহা পুরস্কার পেয়েছে মাওলা ব্রাদার্স। শহিদ মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার পেয়েছে বেঙ্গল পাবলিকেশন্স লিমিটেড ও পাঠক সমাবেশ। রোকনুজ্জামান খান (দাদাভাই) স্মৃতি পুরস্কার সময় প্রকাশন। চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার পেয়েছে ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল), প্রথমা ও জার্নিম্যান। সমাপনী আয়োজনে এই সব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আসাদুজ্জামান নূর।