‘শেখ হাসিনা মৃত্যুভয়ে পশ্চাৎপদ হননি। সাহসের সঙ্গে সংগ্রামে এগিয়ে অগ্রবর্তিণী হয়ে আমাদের শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন, আর ঘাতক মূষিক গোপন থেকে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পদদলিত হওয়ার আশঙ্কায় কৃমিকীট হয়ে আত্মগোপন করেছে।
শেখ হাসিনা মৃত্যুভয়ে পশ্চাৎপদ হননি। সাহসের সঙ্গে সংগ্রামে এগিয়ে অগ্রবর্তিণী হয়ে আমাদের শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন, আর ঘাতক মূষিক গোপন থেকে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পদদলিত হওয়ার আশঙ্কায় কৃমিকীট হয়ে আত্মগোপন করেছে। শেখ হাসিনাকে হত্যা করে শেখ মুজিবের দেওয়া বাংলার মাটিতে তারা বাঁচবে, দাঁড়াবে কোন পরিচয়ে’_ ১৯৯৬ সালের ২০ মার্চ এমন আবেগপ্রবণ উক্তি করেছিলেন কবি সুফিয়া কামাল। এই শুভকামনা শুধু একজন প্রিয় কবিরই নয়, কোটি মানুষেরও। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঘাতকচক্রের ভয়ঙ্কর গ্রেনেড হামলা থেকে অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। সেদিনের সেই ঘাতকচক্র ও নেপথ্যকুশীলবরা এখনও সক্রিয়। গ্রেনেড হামলার পর ১০ বছরেও এখনও ঘাতকের নিশানা শেখ হাসিনা। ভয়ঙ্কর গ্রেনেড হামলার পরও আপন নিরাপত্তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী উদ্বিগ্ন হলেও ভীত নন। তিনি বহুবার বলেছেন, ‘আমার বাবা-মাকে খুন করা হয়েছে। হয়তো আমাকেও খুন করা হবে। তবে জীবন দেওয়া ও নেওয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ। মহান আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে মানুষের দোয়ায় বারবার বেঁচে গেছি।’ বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলাসহ কয়েক দফায় নিজের প্রাণনাশের অপচেষ্টার ঘটনা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমার পরিণতি বাবার মতো হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে আমাকে মাইনাসের চেষ্টা হয়েছিল। জানি না, আল্লাহ কোন ইচ্ছায় আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।’শেখ হাসিনার জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে বরাবরই উৎকণ্ঠা রয়েছে। বিরোধী দলে থাকাকালে নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছিল। বিদেশ থেকে আনা হয়েছিল বুলেটপ্রুফ গাড়ি। কিন্তু সেই নিরাপত্তা বেষ্টনীও টেকেনি। নিরাপত্তাকর্মী ল্যান্স করপোরাল (অব.) মাহবুবুর রশীদ গ্রেনেড হামলার ঘটনায় শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন দিয়ে গেছেন।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দৃষ্টিতে নানা কারণে বারবার মৃত্যুঝুঁকিতে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এগুলো হচ্ছে_ বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ও রায় কার্যকর, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু এবং ফাঁসির দণ্ড কার্যকর, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির মূলোৎপাটন। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। বিএনপির কয়েকজন নেতার আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর হুমকিও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।ভয়ঙ্কর সেদিনশেখ হাসিনাকে হত্যা করতে নারকীয় গ্রেনেড হামলা হয়েছে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। সেদিন বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে শেখ হাসিনার ভাষণ শেষ হওয়ার পর মুহুর্মুহু গ্রেনেড বিস্ফোরণে শহীদ হন ২৪ নেতাকর্মী। অলৌকিভাবে বেঁচে যান শেখ হাসিনা।
মৃত্যুর ওই আঙিনায় দাঁড়িয়ে সবার একটিই জিজ্ঞাসা ছিল, ‘শেখ হাসিনা কোথায়? বেঁচে আছেন তো!’ খানিক পরই যেন কানে এলো দৈববাণী_ ‘মৃত্যুজাল ছিন্ন করে অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে গেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।’ স্মরণকালের নৃশংসতম গ্রেনেড হামলায় স্পি্নন্টারের আঘাতে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়েছিল শত শত মানুষ, ছিল প্রাণহীন নিথর শরীর। এই গ্রেনেড হামলায় চিরদিনের জন্য হারিয়ে গেছেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের স্ত্রী ও আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪টি তাজা প্রাণ। খোলা ট্রাকমঞ্চ থেকে বক্তৃতা দিয়ে নেমে এসে শান্তি মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তুতির সময় বিকট শব্দে একের পর এক বিস্ফোরিত হয় ১৩টি তাজা গ্রেনেড। আওয়ামী লীগ সভাপতির বুলেটপ্রুফ গাড়ি লক্ষ্য করে ছুটে আসে ১২টি গুলি। আর এতেই আওয়ামী লীগ অফিসের চারপাশে যেন রক্তগঙ্গা বয়ে যায়। খানিক আগের জীবন্ত বঙ্গবন্ধু এভিনিউ পরিণত হয় মৃত্যুপুরীতে। রক্তে লাল হয়ে যায় পিচঢালা কালো রাজপথ। বীভৎস ওই গণহত্যার পরমুহূর্তে ঘটনাস্থলে হাত-পাসহ মানবদেহের বিভিন্ন অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল।
১৩ দফা হত্যাচেষ্টাপ্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন জানিয়েছেন, ১৯৮১ সালে দেশে আসার পর থেকে স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক জঙ্গি অপশক্তি কমপক্ষে ১৩ দফায় শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা চালিয়েছে। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর স্বৈরাচারবিরোধী অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে সচিবালয়ের সামনে শেখ হাসিনার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করা হলে শহীদ হন আওয়ামী লীগ কর্মী নূর হোসেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় গ্রেনেড হামলার আগে ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি শেখ হাসিনাকে হত্যার বড় চেষ্টা হয়েছে চট্টগ্রামে। জনসভায় যোগ দিতে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগ সভাপতির গাড়িবহরে গুলিবর্ষণ করা হলে শহীদ হন ২৪ নেতাকর্মী।
১৯৮৮ সালের ১৫ আগস্ট ফ্রিডম পার্টির কর্মীরা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাসভবনে গুলিবর্ষণ ও গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। আওয়ামী লীগ সভাপতি তখন সেখানে থাকতেন। ১৯৯১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ধানমণ্ডির গ্রিন রোডে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনকালে গুলিবর্ষণ করা হলে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা। ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরদীতে ট্রেনের কামরায় গুলিবর্ষণ লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে প্রাণে বাঁচেন তিনি।১৯৯৫ সালের মার্চে পান্থপথে আওয়ামী লীগের জনসভায় বোমা হামলার সময় নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনাকে নিরাপদে সরিয়ে নেন। ১৯৯৬ সালের মার্চে এক অনুষ্ঠান থেকে বের হওয়ার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল থেকে অস্ত্রধারীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। ২০০০ সালের ২০ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ হাসিনার জনসভার কাছে পুঁতে রাখা ৭৬ কেজি ওজনের বোমা বিস্ফোরিত হলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত গোটা জনসভা।
২০০১ সালের ২৯ মে খুলনার রূপসা সেতু এলাকায় যাওয়ার কথা ছিল শেখ হাসিনার। ঘাতকচক্র সেখানে শক্তিশালী বোমা পুঁতে রেখেছিল। ২০০৩ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়ায় গাড়িবহরে গুলিবর্ষণের ঘটনায় প্রাণে বাঁচেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তাকে লক্ষ্য করে ওই দিন বৃষ্টির মতো গুলি ছোড়া হয়েছিল। তিনি ২০০৪ সালের ২ এপ্রিল বরিশালের গৌরনদীতে ঘাতকের বুলেটের আঘাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পান।দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার দেড় মাসের মধ্যেই ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের সময়ও তৎকালীন মহাজোট সরকারকে উৎখাত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টার্গেট করা হয়েছিল। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি এই গুরুতর পরিস্থিতি মোকাবেলা করেন। ২০১২ সালে সেনাবাহিনীতে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের চেষ্টা করা হয়। ওই সময় ব্যর্থ অভ্যুত্থান পরিকল্পনাকারীদের অন্যতম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) এহসান ইউসুফের ল্যাপটপ থেকে উদ্ধার করা ক্লু অনুযায়ী, সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও অভ্যুত্থানের প্রধান টার্গেট ছিলেন শেখ হাসিনাসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ১৩ নাগরিক।২০১৩ সালে শেখ হাসিনাকে ফেসবুকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে বুয়েট শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানাকে সাত বছরের কারাদ দিয়েছিলেন আদালত।প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে তার নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগের একাধিক নীতিনির্ধারক নেতা বলেছেন, গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে কথিত সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। ওই সময় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবন ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছিল। গণভবনমুখী সড়কগুলোতে বসেছিল অতিরিক্ত সতর্ক প্রহরা।
এখন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় তিন স্তরের বলয় রয়েছে। গণভবনের ভেতরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তায় মূল দায়িত্ব পালন করছেন স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) এবং প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) দক্ষ ও চৌকস সদস্যরা। সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরাও নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন।যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে বাংলাদেশেও ভিভিআইপি নিরাপত্তায় ব্যবহৃত হচ্ছে আধুনিক সব প্রযুক্তি। কৌশল আর পরিবেশ-পরিস্থিতির বিবেচনায় নিরাপত্তা সংক্রান্ত নানা খুঁটিনাটি বিষয়েও পরিবর্তন করা হয়েছে। ২০১৩ সালের জুলাই থেকে পুলিশের চৌকস সদস্যদের নিয়ে গড়া স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়নের (এসপিবিএন) সদস্যরা ভারী অস্ত্র নিয়ে প্রতি শিফটে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের বহির্বেষ্টনীতে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন।
২০১২ সালে সেনাবাহিনীতে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টার তথ্য জানার পর গণভবন ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। চন্দ্রিমা উদ্যান ও সংসদ ভবনসংলগ্ন সড়কটি রাত ১১টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয় কিছুদিনের জন্য। সেখানে নিয়োজিত থাকেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য। গণভবনের বহির্ভাগে একই ধরনের নিরাপত্তার জাল এখনও বহাল রয়েছে। এ ছাড়া রাত ১১টার পর গণভবনের সামনের সড়কের একটি অংশের লেন বন্ধ থাকে।
২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর গোয়েন্দা প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার সুপারিশ করা হয়েছিল। ওই প্রতিবেদনে গণভবনকে ঘিরে নিরাপত্তার বেশ কিছু অরক্ষিত বিষয়ও উঠে আসে। এর পর গণভবনকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নতুন করে সাজানো হয়েছে। ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রেক্ষাপটে জঙ্গিরা শেখ হাসিনাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করছে’_ বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার এমন তথ্যের ভিত্তিতে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা ২০০৯ সালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব শিবশঙ্কর মেনন ঢাকা সফরে এসে বাংলাদেশ সরকারকে বিষয়টি অবগত করেছেন।
তোফায়েল আহমেদআওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সম্পূর্ণ অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে গেছেন শেখ হাসিনা। ঘাতকের বুলেট কিছুতেই তার পিছু ছাড়ছে না। ভয়াবহ শক্তিশালী গ্রেনেড হামলাসহ দফায় দফায় তার প্রাণনাশের অপচেষ্টা করা হয়েছে। শেখ হাসিনাকে টার্গেট করা মানে গণতন্ত্রের মসৃণ যাত্রাপথে বিঘ্ন ঘটানো। অশুভ ঘাতক চক্রের পথের বাধা শেখ হাসিনা। তবে জনগণ তার সঙ্গে আছে। আল্লাহ তাকে রক্ষা করবেন।
মতিয়া চৌধুরীআওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, যারা বাংলাদেশ দেখতে চায়নি, তারাই শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা চালাচ্ছে। পাকিস্তানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো তার পিতা হত্যার বিচার করেননি। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছেন। শেখ হাসিনাকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। তিনি নিজের নিরাপত্তার ব্যাপারে ভারমুক্ত। মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, ‘একুশে আগস্ট কেউ শেখ হাসিনাকে ফেলে পালিয়ে যায়নি। এখানেই আওয়ামী লীগের শক্তি। এই নেতাকর্মীরাই শেখ হাসিনার ভরসা।’মোহাম্মদ নাসিমপ্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমও। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু ও একাত্তরের খুনিদের দণ্ড কার্যকর করেছেন শেখ হাসিনা। এই ঘাতকদের বিচার করাটা অনেকের কাছে দুঃসাধ্য হলেও শেখ হাসিনা অসাধ্য কাজটিই সম্পন্ন করেছেন। এ ধরনের সাহসী নেতাদের জীবনের ঝুঁকি থাকে। তাই শেখ হাসিনার নিরাপত্তার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সতর্ক রয়েছে।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, এখনও ২৬টি গ্রেনেড স্পিল্গন্টার তার শরীরের বিভিন্ন অংশে রয়ে গেছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে এমন নারকীয় হামলায় মোকাবেলার নজির বিশ্বে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ গণতন্ত্রের ভাষা হতে পারে না। গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে তাই ২১ আগস্টের ঘটনার বিচার নিশ্চিত করে জঙ্গিবাদকে সমূলে উৎপাটন করতে হবে।
মাহবুবউল আলম হানিফআওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও পঁচাত্তরের খুনি চক্রের পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী হিসেবে হাওয়া ভবনে বসে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করেছেন খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী। নৃশংস ওই ঘটনার বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের বর্তমান মেয়াদের মধ্যেই এ হত্যার বিচার শেষ হবে।