শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

শান্তিতে নোবেল পেলেন মালালা ও কৈলাশ সত্যার্থী

4_157303
এবছর শান্তিতে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার লাভ করলেন পাকিস্তানের মানবাধিকার কর্মী মালালা ইউসুফ জাই (১৭) এবং ভারতের শিশু অধিকার কর্মী কৈলাশ সত্যার্থী (৬০)। দুজনই উপমহাদেশের প্রতিবেশী দুই রাষ্ট্রের নাগরিক। এই পুরস্কার লাভের মধ্যে দিয়ে নতুন রেকর্ড গড়লেন মালালা। এযাবত মালালা ইউসুফ জাই নোবেল  ইতিহাসের সর্বকনিষ্ট নোবেলজয়ী হিসেবে নাম লেখাতে সক্ষম হলেন।

শুক্রবার নরওয়ের অসলোতে বাংলাদেশ সময় বিকেল তিনটায় ‘নোবেল কমিটি অব দ্য নরওয়েজিয়ান পার্লামেন্ট’ আনুষ্ঠানিকভাবে এশিয়ার দুই শান্তির দূতের নাম ঘোষণা করেছে। শিশুদের ওপর নির্যাতন বন্ধ ও শিশুদের শিক্ষা নিশ্চিত করতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য মালালা শান্তি পুরস্কার লাভ করলেন। নোবেল পুরস্কার কমিটি বলেছে,শিশুদের দমন-পিড়নের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার কারনে তাদের দুজনতে যৌথভাবে এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
গত বছরই মালালাল নোবেল শান্তি পুরস্কার পাবার কথা শোনা গিয়েছিলো। এবার আর বাদ যাননি এই মানবাধিকার কর্মী।সবাইকে পেছনে ফেলে নোবেল শান্তি পুরস্কারের টপলিস্টে উঠে আসেন পাকিস্তানের কিশোরী মালালা ইউসুফজাই।
২০১২ সালে পাকিস্তানে তালেবানদের হামলার শিকার হন মালালা। স্কুল বালিকাদের শিক্ষার অধিকার আদায়ে মালাল দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। মালালা ছাড়াও এডওয়ার্ড স্নোডেন ও পোপ ফ্রান্সিস ছিলেন এই লিস্টে।তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে শেষ হাসি কে হাসলেন ভারতের শিশু অধিকার আন্দোলনের কর্মী কৈলাশ সত্যার্থী। ১৯৫৪ সালে কৈলাসের জন্ম মধ্য প্রদেশের বিদিশায়। পেশায় প্রকৌশলী হয়েও শিশুদের অধিকার রক্ষায় আন্দোলনে নামেন। চাকুরীতে ইতি টেনে গড়ে তোলেন বাচপান বাচাও আন্দোলন (বিবিএ)। ১৯৯০ সাল থেকে বাচপান আন্দোলন কাজ করে যাচ্ছে। গত ৩৪ বছরে ভারতের ৮০ হাজার শিশুকে দাসত্ব ও শিশুশ্রমের হাত থেকে এই সংগঠন রক্ষা করেছে।
এ বছর শান্তি পুরস্কারের জন্য রেকর্ডসংখ্যক ২৭৮ জনের নাম উঠে আসে।তবে স্নোডেনের পুরস্কার পাওয়ার বিপক্ষে অবস্থান নেয় খোদ আমেরিকা। যে কারনে এডওয়ার্ড স্নোডেন দৌড়ে পিছিয়ে পড়েন। সূত্র: বিবিসি ও সিএনএন