Monday, February 10Welcome khabarica24 Online

রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে ত্রানসহ ১০ প্রস্তাবনা সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের

গত ৮ই সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের নির্যাতন ও সার্বিক পরিস্থিতি এবং করণীয় নিয়ে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সংবাদ সম্মেলন করে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন।। আন্তর্জাতিক সেবামূলক ও মানবাধিকার সংগঠন সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এবং চলমান এই সংকট নিরসনে ১০ প্রস্তাব পেশ করেন।এছাড়াও আগামী ২২তারিখ ১৫জন ডাক্তার নিয়ে একটি মেডিকেল টিম সহ ২০০০জনের ত্রান দেওয়ার কথা জানান সংগঠনটির কেন্দ্রীয় পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা আবেদ আলী। প্রস্তাবনায় রোহিঙ্গাদের আঙ্গুলের চাপযুক্ত (ফিঙ্গার প্রিন্ট) ‘রোহিঙ্গা ডাটাবেস’ তৈরি,কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান বের করা,রোহিঙ্গাদের সম্পদ লুট, প্রতারণা, নারীদের অপহরণ ও ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা,মিয়ানমারকে বাধ্য করতে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা , বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে বহিস্কার ও তাদের কার্যক্রম সীমিত করা সহ ক্যাম্পে যাতে কোনো অরাজকতা সৃষ্টি করা না যায় তার লক্ষ্যে এনজিও ও অনূপ্রবেশকারীদের প্রতি কঠোর রজরদারি রাখার কথা বলা হয়।।তিনি মনে করেন,আমাদের প্রতিবেশি রাষ্ট্রের মুসলিম ভাই-বোন রাখাইন রাজ্যের (আরাকান) রোহিঙ্গাদের উপর আবারও শুরু হয়েছে ইতিহাসের বর্বরতম নির্যাতন শুরু করেছে মিয়ানমার সরকার এবং তাদের সেনাবাহিনী ও সরকারি বাহিনী। সাম্প্রতিক সময়ে শুরু হওয়া শতাব্দির জঘন্যতম এই নির্যাতন, নিপীড়ন, বর্বরতা ও হত্যাযজ্ঞ অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। একদিকে মিয়ানমার বাহিনীর নির্যাতন নিপীড়নে যখন লাখ লাখ রোহিঙ্গা নারী পুরুষ, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা আর শিশুরা একটু আশ্রয়ের আশায় ‘মৃত্যু সীমান্ত’ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আসা এই সকল রোহিঙ্গারা এই দেশের (বাংলাদেশ) চেনা-অচেনা কিছু দুর্বৃত্তের হাতে লুট, নির্যাতন ও নারীরা অপহরণ ও ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। নির্যাতিত রোহিঙ্গারা যেন এখন উভয় সংকটে পড়েছেন। রোহিঙ্গা জাতিটি একদিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ সন্ত্রাসিদের বর্বরতম নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে এসেও রেহাই পাচ্ছে না। বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্র, দেশি-বিদেশি সংবাদ মাধ্যম ও স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ইমেজ থেকে এটি নিশ্চিত হওয়া গেছে, আরাকান রাজ্য বিলুপ্ত করে রাখাইন রাজ্য ঘোষণা করা আরকানের প্রতিটি অঞ্চলে নির্বিচারে বাড়ি-ঘরে আগুন দেয়ার পাশাপাশি গণহারে রোহিঙ্গা তরুণ ও শিশুদের হত্যা করা হয়েছে। এখনও এই হত্যাযজ্ঞ ঘটেই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ, শিশু সীমান্ত পার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে ও আশ্রয়ের আশায় বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে। আমাদের নেয়া তথ্য মতে, এই ক’দিনে এক লাখ ৭৫ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘ দাবি করছে, আরও অন্তত দেড়লাখ রোহিঙ্গা সীমান্তের পথে রয়েছে। এই সকল নির্যাতিত নিপীড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্টীকে বাংলাদেশে মানবিক বিবেচনায় আশ্রয়ের সুযোগ করে দেয়ায় বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন ও মানবতাবাদী সব সংগঠনের পক্ষ থেকে অকৃত্রিম ও অসীম কৃতজ্ঞতা জানান।

সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের একটি পর্যবেক্ষক দল কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলা ও পার্বত্য বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় অস্থায়ী ভাবে রোহিঙ্গাদের জন্য স্থাপিত কয়েকটি ক্যাম্প ঘুরে এসেছেন।এদের তথ্য মতে, ওপার থেকে নির্যাতিত হয়ে আসা রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে আমাদের পর্যবেক্ষক দলটি নিশ্চিত হয়েছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গারা ইতিহাসের বর্বরতম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আর বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে কতিপয় দুস্কৃতিকারি যুবকদের লালসা ও লুটপাটের শিকার হয়েছে। এই সকল রোহিঙ্গাদের মধ্যে যারা গবাদি পশু নিয়ে এসেছেন তাদের অধিকাংশেরই পশু কেড়ে নেয়া হয়েছে নয়তো ‘কিনে নেয়ার নাটক সাজিয়ে’ অত্যন্ত অল্পদাম ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। একই সাথে নারী শ্লীলতাহানির পাশাপাশি তরুণীদের রোহিঙ্গাদের অপহরণ করে ধর্ষণের ঘটনাও ঘটানো হয়েছে। গণধর্ষণের শিকার হওয়া এমন রোহিঙ্গা নারী চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন থাকার খবরও তাদের কাছে রয়েছে বলে জানান। একটি নির্যাতিত জাতি আশ্রয়ের আশায় আরেকটি দেশে ছুটে এসে কতিপয় ‘হায়েনা’র কবলে পড়া ইতিহাসের বর্বরতম সময়ের কথাই মনে করিয়ে দেয়। বাংলাদেশ সরকার নিশ্চয় এই সকল দুস্কৃতিকারি ও লুটতরাজদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনবে। এছাড়াও পানির জন্য আর ওষুধের জন্য হাহাকার চলছে। শিশুরাই সবচেয়ে বেশি এই হাহাকারের শিকার। যারা নিপীড়িত এই মানবতার জন্য খাদ্য-পথ্য নিয়ে ছুটে এসেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার ভাষা আমাদের জানা নেই। তারপরও এই হাহাকার থামছে না। সাধারণ মানুষের দেয়া এই সহায়তা আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের চাহিদা পুরণ করতে পারছে না। আমরা মনে করি, সরকারি, বেসরকারি পর্যায় ছাড়াও বিদেশি ত্রাণ সহায়তাও তাদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পৌছানোর দরকার হয়ে পড়েছে।

সংগঠনটি মনে করছেন, রোহিঙ্গা, এটি শুধুই একটি জাতি গোষ্টীর নাম নয়। রক্তক্ষয়ী ইতিহাসের মুসলিম জাতিসত্বার নাম ‘রোহিঙ্গা’। যারা শতাব্দির পর শতাব্দি আরাকানে বসবাস করে আসলেও শুধুমাত্র সাম্প্রদায়িকতার রোষানলে পিষ্ট হয়ে দীর্ঘকাল ধরে স্বদেশেই পরবাসি হয়ে আছেন। ১৯৪২ সাল থেকে এই সময় পর্যন্ত বিভিন্ন কৌশলে রোহিঙ্গা নিধন চালাচ্ছে মিয়ানমারের উগ্রবাদী ধর্মাবলম্বী ও সরকারগুলো। রোহিঙ্গাদের নাগরিক ও মানবাধিকার হরণের পর মৌলিক চাহিদা গুলো থেকেও তাদের নানা অপকৌশলে বঞ্চিত করা হয়েছে। ইতিহাস ও নানা পারিপার্শ্বিকতা এটিই মনে করিয়ে দিচ্ছে, আরাকানকে রোহিঙ্গা শূণ্য করার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের পথে এগুচ্ছে মিয়ানমার সরকার। ভূমি অধিগ্রহণ, নাগরিকত্ব অস্বীকার, জীবিকায়নে বাধা, নিয়ন্ত্রিত চলাচল, লুন্ঠন, সম্পদ বাজেয়াপ্তকরণ, জবরদস্তিমূলক উচ্ছেদসহ নানাবিধ মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের স্বদেশ ত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। যা বর্তমান পৃথিবীর জন্য ও মুসলিম জাতির জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক ও চিন্তার বিষয়। প্রিয় কলম সৈনিকেরা, মিয়ানমার সরকার ও তাদের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী জাতি গোষ্ঠীর নানা শ্রেণী বারবার রোহিঙ্গা নামের প্রাচীন একটি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। এই ধরণের পরিস্থিতিতে সংবাদ মাধ্যম ও আন্তর্জাতিক অঙ্গন সরগরম হয়ে উঠলেও জাতিসংঘ ও বিশ্বের নানা দেশের অধিকাংশই নিরব ভূমিকা পালন করে চলেছে। জাতিসংঘের ভূমিকা বিবৃতিতেই সীমাবদ্ধ থেকেছে। প্রতিবারই জাতিসংঘ কার্যকর কোন পদক্ষেপ না নিয়ে শুধু বাংলাদেশকে সীমান্ত খুলে দেয়ার অনৈতিক আবদার করে থাকে। মিয়ানমারে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অং সান সূচির নেতৃত্বাধীন সরকার রোহিঙ্গা নিধনের আরও কঠোর থেকে কঠোরতর হয়ে ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববাসীর কাছে জাতিসংঘের প্রতি ‘আস্থার সংকট’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন ও কক্সবাজার জেলার স্থানীয় বাসিন্দারা স্পষ্টই বলছে, মিয়ানমার সরকারের সাম্প্রদায়িক নিধনের শিকার হওয়া রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ মানবিকতার বিরল দৃষ্টান্ত দেখালেও এই জাতির লাখ লাখ মানুষকে বছরের পর বছর বাংলাদেশে থাকতে দেয়া কোন ভাবেই সম্ভব নয়। এই সমস্যা দ্রুততর সময়েই কক্সবাজার জেলার বাসিন্দা তথা বাংলাদেশের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে। এই সংকট সামনে আসার আগেই রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান জরুরি। বন্ধুগণ, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয়, তাদের নিরাপত্তা দেয়া, প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ ও রোহিঙ্গারা যাতে বাংলাদেশি সমাজে মিশে যেতে না পারে তার জন্য সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সরকার, জাতিসংঘ ও সংশ্লিষ্ট সকলের উদ্দেশ্যে বেশ কিছু প্রস্তাবণা তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের প্রস্থাবিত প্রস্তাবণা গুলো হলঃ

০১. শুরুতেই মানবিক সহায়তার পাশাপাশি দ্রুততর সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের এমন একটি ডাটাবেসের অধীনে নিয়ে আসতে হবে যাতে চাহিবা মাত্রই তাদের চিহ্নিত করা যায়। এমন একটি প্রস্তাবণা হলো, রোহিঙ্গাদের আঙ্গুলের চাপযুক্ত (ফিঙ্গার প্রিন্ট) ‘রোহিঙ্গা ডাটাবেস’ তৈরি। এটি করা গেলে রোহিঙ্গারা কখনোই বাংলাদেশিদের সাথে মিশে যেতে পারবে না। ০২. রোহিঙ্গাদের শুধু মানবিক সহায়তা দিয়ে বছরের পর বছর বাংলাদেশে বসবাসের সুযোগ করে দেয়ার পক্ষে আমরা নই। আমরা মনে করি, কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান বের করতে হবে। প্রয়োজনে প্রতিথযশা সাবেক কূটনৈতিক কর্মকর্তাদের মাধ্যমে একটি আলাদা কমিটি গঠন করে মিয়ানমার ও বিশ্ব দরবারে উন্নত লবি’র মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

০৩. যে সকল বাংলাদেশি দুস্কৃতিকারি নির্যাতিত হয়ে এই দেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সম্পদ লুট, প্রতারণা, নারীদের অপহরণ ও ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। আমরা মনে করি, মানবিকতা দেখিয়ে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে আবার তাদের সাথে থাকা সম্পদ ও ইজ্জত লুট করার ঘটনা পুরো জাতিকেই বিশ্ব দরবারে হেয় করে তুলবে।

০৪. মিয়ানমারের আরকান রাজ্যে সংখ্যালঘু মুসলমানদের উপর হত্যা ও নির্যাতন বন্ধ এবং তাদের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে মিয়ানমারকে বাধ্য করতে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হোক।

০৫. রাখাইন রাজ্যে গণহত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে বহিস্কার ও তাদের কার্যক্রম সীমিত করতে হবে।

০৬. রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক ভাবে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণে বাংলাদেশ সরকারকে প্রয়োজনীয় ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

০৭. বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারি রোহিঙ্গারা যাতে কোন ধরণের অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে এবং অরাজকতা সৃষ্টি করতে পারে এমন দল ও এনজিও সংগঠনের প্রতি প্রশাসনের কড়া নজরদারি রাখতে হবে।

০৮. রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের মিয়ানমার সরকারকে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে প্রতিকার ও রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আল্টিমেটাম দিতে হবে।

০৯. বাংলাদেশে বসবাসরত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীসহ সকল সংখ্যালঘুদের উপর যে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেই বিষয়ে ধর্মীয় আলেম-ওলামাসহ সমাজের সচেতন নাগরিকদের সজাগ থাকতে হবে।

১০. সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের একটি পর্যবেক্ষণ টিম আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনের অনুমতির বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করতে হবে।