শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

রাজনীতিতে নিষিদ্ধ হচ্ছেন ইংলাক!

22470_inglak

 

রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে ইংলাক শিনাওয়াত্রাকে। বুধবার তাকে সাংবিধানিক আদালত পদত্যাগের নির্দেশ দেয়। এরপরই তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। বলা হয়েছে, তার সরকার কৃষকদের কাছ থেকে অতি উচ্চ মূল্যে ধান কিনেছে। সেই ধান এখন জমা হয়ে আছে। রপ্তানি করা যাচ্ছে না এত দামের কারণে। এ খাতে ব্যাপক দুর্নীতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে। দেশটির দুর্নীতি বিরোধী কমিশন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে। তা এখন সিনেটে ভোটে দেয়া হবে। সেখানে তাকে অভিশংসিত করা হলে তিনি রাজনীতিতে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন। গতকাল থাইল্যান্ডে এ নিয়ে সরব আলোচনা চলছিল। আলোচনা হয় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। বুধবার থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত প্রধানমন্ত্রী ইংলাক শিনাওয়াত্রা ও ৯ জন মন্ত্রীকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি নিয়োগ করা হয় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করা হয়। গত বছরের নভেম্বরে সরকার বিরোধী আন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে থাইল্যান্ডে। তারপর থেকে সেখানে বিরাজ করছিল এক অশান্ত পরিস্থিতি। এরই মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে সেখানে মধ্যবর্তী নির্বাচন দেয়া হয়। বিরোধী দল সেই নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় তা বাতিল হয়ে যায় সেই নির্বাচন। গতকাল ন্যাশনাল দুর্নীতি বিরোধী কমিশনের প্রধান পানথেপ ক্লানারোং বলেছেন, তার কমিটি ইংলাকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিষয়টি তদন্ত করেছে। এতে তার বিরুদ্ধে মামলা করার মতো প্রচুর তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। ধান সংগ্রহ অভিযানে বিশ্ব বাজারের দামের চেয়ে অনেক বেশি দামে ধান সংগ্রহ করে সরকার। কৃষকদের ভর্তুকি দেয়া হয় এ প্রকল্পে। এভাবে ধান সংগ্রহ অভিযানে যে ধান সংগ্রহ করা হয়েছে তাতে বিশাল মজুদ গড়ে উঠেছে। তবে এ কারণে থাইল্যান্ডের ধান বা চাল রপ্তানি কঠিন হয়ে পড়েছে। ইংলাকের সমালোচকরা বলছে এ প্রকল্প অত্যাধিক ব্যায়বহুল। এতে ভয়াবহরকম দুর্নীতি হয়েছে। ওদিকে জাতীয় নিরাপত্তা প্রধানকে ব্যক্তিগত কারণে অবৈধভাবে তিনি ২০১১ সালে বদলি করেছেন বলে অভিযোগ আছে। তবে তার সমর্থকরা মনে করছেন, আদালত ইংলাকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তারা এখন ইংলাকের পক্ষে আন্দোলনের মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইংলাকের পুয়ে থাই পার্টির সবচেয়ে শক্ত সমর্থন গ্রামের কৃষক মহলে। বিশেষ করে থাইল্যান্ডের উত্তর, উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে। অন্যদিকে ইংলাক সরকারের বিরোধীদের সমর্থন বেশি শহর এলাকায় ও দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণীতে। তারা ইংলাক সরকারের বিরুদ্ধে গত ৬ মাস একটানা আন্দোলন করেন। দখণ করেন সরকারি বিভিন্ন ভবন। বিঘœ সৃষ্টি করে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে। তাদের অভিযোগ, ইংলাকের ভাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন শিনাওয়াত্রাকে রক্ষার জন্য ইংলাক সরকার রাজনীতিবিদদের সাধারণ ক্ষমার আইন পাস করেছে।