যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাবের ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।যুদ্ধাপরাধবিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিফেন জে র্যাপের সঙ্গে বৈঠকের পর আইনমন্ত্রী নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে আমেরিকার মনোভাবের ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। তবে মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে বিকল্প দণ্ডের কথা বলেছেন তারা।তিনি বলেন, অপরাধ যদি গুরুতর ও মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার মতো হয় সে ক্ষেত্রে তাদের কোনো আপত্তি নেই। যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিফেন জে র্যাপ ঢাকা সফর করছেন। এরই অংশ হিসেবে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।আইনমন্ত্রী বলেন, দলের বিচার করার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। খসড়াটি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে।এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ব্যক্তির বিচার করা গেলেও দলের বিচার করা সুযোগ ছিল না। সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন সংগঠনের দাবির মুখে সরকার দলের বিচার করার চিন্তা-ভাবনা করে। এরই অংশ হিসেবে আইন মন্ত্রণালয় আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়।সংশোধন খসড়ায় কী রয়েছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনের আগে বলার সুযোগ নেই। মন্ত্রিসভা অবহিত হলে বলার সুযোগ থাকবে। বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে থাকা বাস্তব সম্মত বলেও দাবি করেছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।তিনি বলেন, বিচারকের অভিসংশনের ক্ষমতা সংসদের হাতে থাকা বাঞ্ছনীয়। পৃথিবীর সব দেশেই বিচারপতিদের অভিসংশনের ক্ষমতা সংসদের হাতে রয়েছে।