সন্ত্রাসী হামলার চেয়ে সাইবার হামলাকে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা। কংগ্রেসের একটি কমিটির কাছে দেশটির জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকির একটি তালিকা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এতে বলা হয়েছে বিদেশি সরকার ও অপরাধীদের দ্বারা ইদানীং যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার হামলা বাড়ছে।
এসব হামলার প্রধান উৎস হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি রাশিয়া, চীন, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার কথা উল্লেখ করেছে। গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট হ্যাকিং বা ইমেইলে আড়ি পেতে গোপন সব তথ্য জেনে নেয়া, এ ধরনের সাইবার হামলায় একটি দেশের অর্থনীতিও ডুবিয়ে দেওয়া সম্ভব বলছেন বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক জেমস ক্ল্যাপার বলেছেন, রাশিয়াকে যতোটা হুমকি মনে করা হতো আসলে সে তার থেকেও বেশি শক্তিশালী। রাশিয়া সাইবার হামলা করার জন্য আলাদা বাহিনী তৈরি করেছে বলে দাবি করেছেন ক্ল্যাপার। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সাইবার হামলার পরিমাণ, মাত্রা, ধরন ও তীব্রতা ক্রমেই বাড়ছে।
মার্কিন সিনেমা ইন্টারভিউকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি যে বিতর্ক তৈরি হয় তখন অ্যামেরিকা ও উত্তর কোরিয়ায় কয়েক দফায় সাইবার হামলা হয়েছে। কে বা কারা এইসব হামলা করেছে তার প্রমাণ না পাওয়া গেলেও আমেরিকার সনি পিকচার্সে হ্যাকের জন্যে উত্তর কোরিয়াকেই দায়ী করে এফবিআই। এ ছাড়া সম্প্রতি মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইটটিও হ্যাক করেছিল আইএস জঙ্গিদের দ্বারা প্রভাবিত একটি গ্রুপ। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাইবার হামলার বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে দেশটি। সূত্র: বিবিসি