Wednesday, February 12Welcome khabarica24 Online

মোমেনার আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্নই পরিবারের এক রাশ সম্পদ

মোহছেনা মিনা, সীতাকুণ্ড :

momina

শহরের বাইরে মধ্যবিত্তদের নামের তালিকায় কোথাও মোমেনার নাম খুঁজে পাওয়া না গেলেও দরিদ্রের তালিকায় ঠিকই পাওয়া যাবে। শত দারিদ্রতার মাঝেও মোমেনা আজ সফল একটি মেয়ের নাম। সদ্য প্রকাশিত ২০১৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম বিভাগে সীতাকুণ্ড মহিলা কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে মোমেনা পেয়েছে জিপিএ-৫ ।

 

সীতাকুণ্ড থানার পূর্ব আমিরাবাদ গ্রামের মৃত মোহাম্মদ মুছা ও মরিয়ম বেগমের মেঝ মেয়ে মোমেনা আক্তার সীমা। জিপিএ- ৫ পাওয়ার আনন্দ প্রকাশ করতে গিয়ে মোমেনা বলেন, ‘আমি আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখি। বড় হয়ে একজন বিসিএস ক্যাডার হতে চাই। এখন পড়াশুনা করছি ভার্সিটিতে ভর্তি পরীক্ষার জন্য। ঢাকা, চট্টগ্রাম দুইটাতেই চেষ্টা করবো। আমার পড়াশুনার পথে সকল বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো বলে আমার বিশ্বাস।’
তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে মোমেনা ছোটবেলা থেকেই মেধাবী। পিতার মৃত্যুর সময় মোমেনা পড়তো ২য় শ্রেণীতে। মাতৃ নির্ভর পরিবারে মায়ের কাঁধেই ভর করেছিলো পুরো পরিবার। মরিয়ম বেগম একটা বেসরকারী এনজিও-তে চাকরি করে সংসারের শত টানাপোড়েনের মধ্যেও চালিয়ে যান মোমেনা সহ চার ভাইবোনের পড়াশুনা, জানান মোমেনা।

 

মোমেনা খবরিকা-কে বলেন, ‘ আমার রেজাল্ট শুনে মা খুশিতে কেঁদেছেন। অথচ আমাদের সুখের জন্য, পড়াশুনার জন্য মা নিজের সুখ বিষর্জন দিয়েছেন। নিজে না খেয়ে আমাদের খাইয়েছেন। মায়ের স্বপ্ন একদিন আমি অনেক বড় হবো, চাকরি করবো আর মায়ের দু:খ দুর করবো।’

 

মোমেনা আরো বলেন, ‘ মফস্বলের দরিদ্র পরিবারের মেয়ে আমি। শিক্ষকদের দেওয়া বইপত্র দিয়ে পড়াশুনা চালিয়ে গেছি। তাদের উৎসাহ ও সহযোগিতায় আজ আমি এতদূর।’

 

উল্লেখ্য, মোমেনা এসএসসিতে জিপিএ-৫ সহ ৮ম ও ৫ম শ্রেণীতে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি অর্জন করে।