মোটরসাইকেলের লাইসেন্স ফি অর্ধেকে নামিয়ে আনার সুপারিশ করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। সংসদ ভবনে বুধবার দুপুরে কমিটির বৈঠকে লাইসেন্স ফি ২৫ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ১০ হাজার টাকা করার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া মোটরসাইকেল কেনার সময়ই লাইসেন্স প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়।
লাইসেন্সবিহীন মোটরসাইকেলের সংখ্যা কমাতে এ সুপারিশ করা হয়েছে বলে বৈঠকসূত্রে জানা গেছে।
বৈঠকে বলা হয়, মোটরসাইকেলের লাইসেন্স ফি বেশি হওয়ায় অনেকেই বিনা লাইসেন্সে বা ভুয়া লাইসেন্সে মোটরসাইকেল চালাচ্ছে। অনেকক্ষেত্রে লাইসেন্স পেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ কারণেও অনেকে লাইসেন্স করছে না। এতে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে। মোটরসাইকেলের লাইসেন্স করার প্রতি চালকদের উৎসাহিত করতে লাইসেন্স প্রক্রিয়াকে সহজ ও এর ফি কমানো প্রয়োজন।
কমিটির ৪র্থ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেন। এতে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য ওবায়দুল কাদের, এ কে এম এ আউয়াল (সাইদুর রহমান), রেজওয়ান আহমদ তৌফিক, নুরুজ্জামান আহমেদ, নাজমুল হক প্রধান, মো. মনিরুল ইসলাম এবং লুৎফুন নেছা।
বৈঠকে বিআরটিসি’র সার্বিক কার্যক্রম, ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত প্রতিবেদন উপস্থাপন ও আলোচনা করা হয় এবং জানানো হয় যে, ঢাকা শহরের যানজট নিরসনের লক্ষে ইন্ডিয়ান ডলার ক্রেডিট লাইনের আওতায় ৩০০টি দ্বিতল ও ১০০টি আর্টিকুলেটেড বাস সংগ্রহের বিষয়টি প্রকল্প পরিচালকের মাধ্যমে (পরিকল্পনামন্ত্রী) নীতিগত অনুমোদিত হয়েছে। এ ছাড়া পায়রা সেতু (লেবুখালি সেতু) নির্মাণ প্রকল্পের কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয় বৈঠকে।
এছাড়া বৈঠকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেন- এ উন্নীতকরণ প্রকল্পের কার্যক্রমের গতি বৃদ্ধি, যানজট নিরসনে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা উন্নতকরণ, মহাসড়কে বাজার উচ্ছেদে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এ সময় সড়ক পরিবহন বিভাগের সচিব, সেতু বিভাগের সচিবসহ মন্ত্রণালয় ও সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।