নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
গানে, কবিতায়, নাটক-উপন্যাস ও গল্পে বাংলা ও বাঙালিকে বর্ণিল রঙে রাঙিয়ে দেয়া আধুনিক বাঙালির মননে ও সৃজনে জ্যোতির্ময় প্রতীক বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৬তম জন্মজয়ন্তী ও বাংলাদেশের জাতীয় কবি, বিদ্রোহী কবি, গানের বুলবুল, প্রেমের কবি, দ্রোহের কবি, কাজী নজরুল ইসলামের ১১৮ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে মীরসরাইয়ের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘প্রবাল’ এর উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিকাল ৪টায় মীরসরাই কৃষি মিলনায়তনে রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী উদ্যাপন করা হয়।
প্রবাল এর সভাপতি মাষ্টার এম গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রাজিব মজুমদার ও লেখক আনোয়ারুল হক নিজামীর যৌথ সঞ্চালনায় রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল গীতি, কবিতা আবৃত্তি, রচনা পাঠ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে সমবেত কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথের ‘ও আমার দেশের মাটি তোমার পরে ঠেকায় মাথা’ গানটি পরিবেশন করেন এক ঝাঁক শিল্পী। এরপর ‘আমার সকল দুঃখের প্রদীপ জ্বেলে’ গানটি পরিবেশন করে শিক্ষার্থী নন্দিতা বড়–য়া। বিদ্রোহী কবিতাটি আবৃত্তি করে সবাইকে বিমুগ্ধ কবি মাহবুব পলাশ। শিক্ষার্থী মহিমা দে ঐশীর কণ্ঠে নজরুল গীতি ‘ মোরা ঝঞ্ঝার মতো উদ্দাম’, রিপা শর্মার কণ্ঠে ‘ভেঙ্গে মোর ঘরের চাবি’ গানটি উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ করে। রবীন্দ্রনাথের নিমন্ত্রণপত্র পাঠ করেন কবি শাহনেওয়াজ লিংকন। শিশু শিক্ষার্থী সুস্মিতা দেবী ঋতু আবৃত্তি করেন ‘সংকল্প’ কবিতাটি। রচনা পাঠ করেন কবি মাহমুদ নজরুল ও কবি শাহাদাৎ হোসেন লিটন। এরপর শিক্ষার্থী অর্পিতা নাথের কণ্ঠে নজরুল সংগীত পরিবেশিত হয়। জারিন তাসনিম শৈলীর কণ্ঠে ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্য সুন্দর’ গানটি সমবেত সকলকে বিমোহিত করে। ‘আমার গানের মালা আমি করবো কারে দান’ গানটি পরিবেশন করেন আনিষা দে। এরপর আবৃত্তি করেন কবি আখতারুজ্জামান, কবি সাইফুদ্দীন মীর শাহীন ও ছড়াকার শামীম খান যুবরাজ। সংগীত শিল্পী রণজিত ধরের কণ্ঠে নজরুল সংগীত ‘শূণ্য এই বুকে পাখি মোর আয়, ফিরে আয় ফিরে আয়’ ও শিল্পী নুরুল ইসলাম নুরুর কণ্ঠে‘ কোথায় চাঁদও আমার’ গানটি পরিবেশন করেন। এরপর শিক্ষার্থী বৈশাখী চক্রবর্তীর কণ্ঠে ‘না না লোকে ফুটিল কেন গোলক চাঁপার ফুল’, অহনা দেবীর কণ্ঠে ‘ ভেঙ্গে মোর ঘরের চাবি’, পুলক সরকার এর কণ্ঠে ‘ আমরা সবাই রাজা’ গানটি পরিবেশিত হয়। ছোট্টবন্ধু মুন চক্রবর্তীর ‘লিচু চোর’ ছড়াটির আবৃত্তি উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ করে। এরপর অর্পিতা বণিকের কণ্ঠে ‘পুরোনো সেই দিনের কথা’, এবং রিয়া রানী দে’র কণ্ঠে ‘একটুকু ছোঁয়া লাগে’, তাজবিন সুলতানার কণ্ঠে ‘গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙামাটির পথ’ গানগুলো শুনে আবিষ্ট হয় উপস্থিত শ্রোতা। রবীন্দ্রসংগীত ‘আমার পরাণ যাহা চায়’ গানটি পরিবেশ করেন সংগীত শিল্পী কেয়া চক্রবর্তী। এসময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক হোছাইন সবুজ, সাংবাদিক শরীফ উদ্দিন শিবলু, মোহাম্মদ ইউছুপ, রিপন গোপ পিন্টু, ইমাম হোসেন, সাহাব উদ্দিন, সানোয়ারুল রণি, সাঈদ ইবনে হায়দার চৌধুরী জনি প্রমুখ।