খবরিকা ডেস্কঃ
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে প্রায় দুইশত বছরের পুরোনো সংখ্যালঘুদের একটি সার্বজনীন শ্মশান দখলের পাঁয়তারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদে একটি লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগীরা। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের রায় অমান্য করে ভুমিদস্যু ফারুক শ্মশানটি দখলের পাঁয়তারা করেছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
গোপীনাথপুর সার্বজনীন শ্মশান কমিটির সভাপতি ভবরঞ্জন পাল ভোলা জানান, প্রায় দুইশত বছর পূর্বে গোপীনাথপুর গ্রামের রামগতির ছেলে নন্দ কুমার এলাকাবাসীর স্বার্থে গোপীনাথপুর মৌজায় ২৩২৮ নম্বর পিএস খতিয়ানে ২১ শতক জায়গা শ্মশানের জন্য দান করে যান। বংশ পরম্পরায় এলাকাবাসী শ্মশানটিতে তাদের নিকটজনের মৃতদেহ সৎকার করে আসছিল। প্রায় অর্ধশতাধিক সংখ্যালঘু পরিবারের জন্য রয়েছে মাত্র একটি শ্মশান। কিন্তু প্রভাবশালীদের কালো থাবায় শ্মশানটি সংকুচিত হয়ে ৪ শতকে পরিনত হয়। প্রভাবশালীদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতো না। কিন্তু গত কয়েক মাস আগে জোরারগঞ্জ বাজারের দলিল লেখক ওমর ফারুক শ্মশানটির মাঝ খানে বেড়া দিয়ে দখল করে নেয়। বিষয়টি জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানানো হয়। চেয়ারম্যান একটি লিখিত অভিযোগ দিতে বলে। বুধবার বিষয়টি মীমাংসা করা হয়। চেয়ারম্যানের রায় ক্ষতিগ্রস্থদের পক্ষে আসে। গতকাল ২২ মে সকালে রায়ের কপি নিয়ে শ্মশানটি সংস্কার করতে গেলে ওমর ফারুক ও ভূমি দস্যু আজিজ ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলাকাবাসীকে ধাওয়া করে। পরে বিষয়টি জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকসুদ আহম্মদ চৌধুরীকে জানানো হয়।
জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকসুদ আহম্মদ চৌধুরী জানান, সংখ্যালঘুদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করে বেদখলকৃত শ্মশানটি উদ্ধারের জন্য শ্মশান কমিটিকে নিদের্শ দেয়া হয়। কিন্তু শশ্মানটি দখলমুক্ত করতে গেলে এলাকাবাসীকে দখলদাররা ধাওয়া করে বলে শুনেছি। তিনি থানায় অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান।
জোরারগঞ্জ বাজারের দলিল লেখক ওমর ফারুক বলেন, জায়গাটি আমার তাই আমি দখল করেছি। ওরা আমার বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদে মিথ্যে অভিযোগ দিয়েছে।