মিষ্টি কুমড়ার অপরিহার্য কিছু গুণাগুণ সম্পর্কে হয়তো আমাদের অনেকেরই জানা নেই। এই সবজিটি পুষ্টি উপাদানে ভরপুর এবং সে অর্থে একে প্রকৃতির পুষ্টি উপাদানের ‘পাওয়ারহাউজ’ বলা যেতে পারে। মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে বহু অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ভিটামিন, যেমন- ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও ভিটামিন ই। কপার, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফসফরাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদানেও সমৃদ্ধ এ সবজিটি। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই একে ‘সুপারফুড’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। মিষ্টি কুমড়ার প্রধান ৫টি গুণাগুণ এখানে উপস্থাপন করা হলো:
চোখের জন্য: মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, যা চোখে ছানি পড়া ও দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। খাদ্য তালিকায় নিয়মিত এ সবজিটি রাখার ফলে আপনার দৃষ্টিশক্তি আরও প্রখর হবে এবং চোখের ছোটখাটো কিংবা মারাত্মক কোন সমস্যায় পড়তে হবে না।
ত্বকের জন্য: ত্বকের সুরক্ষায় মিষ্টি কুমড়ার ভূমিকা অসামান্য। ত্বক সুরক্ষাকারী উপাদান বিটা ক্যারোটিন প্রচুর পরিমাণে রয়েছে এ সবজিতে, যা আপনার ত্বককে আরও মসৃণ ও কমনীয় করে তোলে। এতে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় ত্বকে সহজে বলিরেখা বা ভাঁজ পড়বে না। মিষ্টি কুমড়ায় ভিটামিন সি থাকায় ত্বক হয় লাবণ্যময়। এতে আলফা ক্যারোটিন জাতীয় উপাদান থাকার ফলে বার্ধক্যও আসে দেরিতে।
ওজন কমাতে: মিষ্টি কুমড়ায় কোন সম্পৃক্ত চর্বি বা কোলেস্টেরোল নেই এবং এতে ক্যালোরির মাত্রাটাও সামান্য। এতে রয়েছে পুষ্টিকর আঁশ। এ সবজিটি কোলেস্টেরোল নিয়ন্ত্রণ করতে ও ওজন কমাতে বিশেষভাবে সহায়তা করে।
দাঁত ও হাড়ের জন্য: মিষ্টি কুমড়ার শাঁসালো অংশে এবং এর বীজ বা দানায় প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকায় এটি হাড় ও দাঁতের ক্ষয়রোধ করে। নিয়মিত মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার অভ্যাস আপনার দাঁত ও হাড়কে করবে আরও মজবুত।
রোগ প্রতিরোধে: মিষ্টি কুমড়ায় রোগ প্রতিরোধকারী বহু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে। হার্টের অসুখ, হাইপারটেনশন, বাত ইত্যাদি মারাত্মক সব রোগ প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর এ সবজিটি। বয়সজনিত কারণে মাংসপেশীর যে রোগ হয়, তাও প্রতিরোধ করে মিষ্টি কুমড়া।