প্রতিনিধি : মীরসরাই উপজেলার মিঠাছরা বাজারে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত রবিবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় নিরীহ সিএনজি চালক সহ অন্তঃত ২০ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় এ সময় ধারালো অস্ত্রের মহড়া দেখে বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। লোকজনকে প্রাণভয়ে ছুটাছুটি করতে দেখা যায়। মীরসরাই সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন মিলন-মামুন ও ছাত্রলীগের পাল্টা কমিটি জসিম- সাইফুল গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষকারীদের রাম দায়ের আঘাতে মৃত্যৃমুখে এখন চট্টগ্রাম মেডিল কলেজ হাসপাতালে এখন মাথায় গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত সিএনজি চালক মোহাম্মদ আরিফ (২৫)। সে সোনাগাজীর আবুল বশরের পুত্র। তাকে প্রথমে মস্তাননগর হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই পংকজ জানায় উক্ত সিএনজি চালক এখনো আশংকামুক্ত নয়। এছাড়া দফায় দফায় হামলা পাল্টা হামলায় আহত কয়েছে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মামুন, ফয়সাল, আমজাদ, তারিফ, অপর গ্রুপের সভাপতি জসিম উদ্দিন সহ অন্তত ২০জন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কয়েক মাস পূর্বে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের কমিটি গঠনের পর থেকে মিঠাছরা বাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বহুবার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে মিঠাছরা বাজারে উত্তেজনা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। এই বিষয়ে মিঠাছরা গরু বাজারের ইজারাদার ও ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম জানান কিছু ছাত্রলীগের নামধারী নেতাকর্মী উদ্দেশ্যমূলক ভাবে আসন্ন কোরবানি উপলক্ষে বিশৃংখলা সৃষ্টি সহ মিঠাছরা বাজারের সুনাম ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে। আবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ীরা এমন আতংকের অবসান চায় দ্রুত। মীরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ এমকে ভূঁইয়া জানান, সংঘর্ষকারীদের আটক করতে পুলিশ চেষ্টা অভিযান অব্যাহত রেখেছে।