বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ২০ দলীয় জোটের মুখপাত্র সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বর্তমান সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিযোগিতায় বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে বাংলাদেশ’ অবস্থান করছে।সোমবার বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।বিবৃতিতে সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, নিপীড়ক আওয়ামী শাসকচক্রের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন-সংগ্রাম প্রকৃত বিচারে জনগণের ক্ষমতায়নের একমাত্র এবং সর্বশেষ অবলম্বন হিসেবেই এখন দেশের সকল মানুষের কাছে বিবেচিত। দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা, শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নত গণতন্ত্রের দেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে এই গণআন্দোলনের বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই।বিবৃতিতে তিনি বলেন, চলমান আন্দোলনকে যৌক্তিক পরিণতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আজ সময়ের দাবি।বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত গণতন্ত্র মুক্তির এই গণআন্দোলন অব্যাহত থাকবে।বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকারে নির্দেশে গুপ্তঘাতকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সর্বত্র লাশের গন্ধ, যেখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে স্বাধীন দেশের নাগরিকদের গুলিবিদ্ধ লাশ।পেটোয়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কতিপয় কর্তাব্যক্তি খুনের উল্লাসে মেতে উঠেছে। জাতিসংঘ, ইইউ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ সকল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহল বাংলাদেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করলেও সরকার ক্ষমতার উত্তাপে নির্বিকার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুলেটবিদ্ধ করে আওয়ামী লীগ জনগণের ব্যালটের অধিকার হরণ করেছে।বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, অবশেষে বাংলাদেশের সর্বজনস্বীকৃত ঘৃণ্য স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও প্রধানমন্ত্রীকে তার চেয়ে বড় স্বৈরাচারের সনদ প্রদান করেছেন।সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “অনির্বাচিত সদস্যদের বৈকালিক আড্ডায় ‘বিকাশ মার্কা’ এমপিদের অলস সময়ের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের অপহরণ বিষয়ক কল্পকাহিনীর সঙ্গে বিএনপির হাইকমান্ড জড়িত বলে চটুল বাক্যালাপ করা হয়েছে।বিবৃতিতে তিনি বলেন, গণতন্ত্রের বদলে ব্যক্তিতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অবাস্তব নীল-নকশা বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্র ইতোপূর্বে বাকশাল প্রনয়ণের মাধ্যমেও সফল হয়নি; এখনও হবে না।এ জাতীয় বালখিল্যপণার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে এ জাতীয় বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিবন্ধিতাসুলভ আচরণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।