নিজস্ব প্রতিনিধি :: গত ২৫ আগষ্ট খবরিকা ২৪ অনলাইনে প্রকাশিত ‘‘ মীরসরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ১৮ লক্ষ টাকা অনিয়মের অভিযোগ : সভাপতি পদ নিয়ে নাটকীয়তা’’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে এক প্রতিবাদ লিপি পাঠিয়েছেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক জনাব আজিম উদ্দিন ভূঞা।
প্রতিবাদলিপিতে তিনি উল্লেখ করেছেন উক্ত সংবাদে তাঁহার ছবি ব্যবহার করা অন্যায় হয়েছে বলে দাবী করেছেন, তাঁহার দেয়া তথ্য প্রদান করা হয়নি, তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক এর বক্তব্য দেয়া হয়নি, ৯০ শতাংশ ভাউচার অযৌক্তিক বিষয়টি অমূলক, পিকনিকের অর্থ আত্মসাৎ বিষয়টি সঠিক নহে, সর্বোপরী তিনি ‘ প্রতিকার না পেলে সাইবার ট্রাইবুনালে যেতে বাধ্য থাকিব’ বলে ৬ পৃষ্ঠার উক্ত প্রতিবাদ লিপি প্রদান করেন। তিনি দাবী করেছেন তাঁর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ স্বার্থান্বেষী কুচক্রি দ্বারা উদ্দেশ্যমূলক, প্রতিহিংসাপরায়ন ব্যক্তি দ্বারা প্ররোচিত। তাঁকে কলংকিত করার জন্যই এমন সংবাদ বলে তিনি দাবী করেন।
প্রতিবেদক এর বক্তব্য :: সামাজিক প্রাণী হিসেবে কর্মজীবনে যে কাহারো বিষয়ে যে কোন অভিযোগ যে কেউ আনতেই পারে। যাহা প্রমান করার দায়িত্ব রাখেন শুধুমাত্র আদালত। সংবাদ মাধ্যম শুধুমাত্র কারো দাবী বা আনিত অভিযোগ, কিংবা তথ্য উপাত্ত থাকলে সংবাদ পরিবেশন করে। উক্ত রিপোর্টে ও সংবাদ মাধ্যম এবং সংবাদকর্মী নিজের কোন বক্তব্য উপস্থাপন করেননি। সংবাদে উল্লেখিত অভিযোগ উত্থাপন কারীগনের সুস্পষ্টভাবে পরিচয় প্রদান পূর্বক তাহাদের বক্তব্য প্রদান করা হয়েছে। জামালপুরের আলোচিত জেলা প্রশাসক আহমেদ কবির সম্প্রতি আলোচিত । তাঁর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগই প্রমানিত হয়নি। কিন্তু সকল গনমাধ্যম বিভিন্ন সময়ের ছবি ব্যবহার করেই অনেকভাবে অনেক রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। এখানে ও প্রধান শিক্ষকের ভালো ছবিটিই ব্যবহার করা হয়েছে। কোন বিকৃত ছবি উপস্থাপন করা হয়নি। তিনি পিকনিকের অনিয়মের অভিযোগ সত্য নয় জানিয়েছেন। কিন্তু অভিবাবক প্রতিনিধি আলমগীর চৌধুরী দাবী করেছেন পিকনিকের কোন হিসাব আজো তাঁরা পাননি। ভাউচারের সকল বিষয়াদি অডিট রিপোর্টে যেভাবে উল্লেখিত ছিল সেভাবেই রিপোর্টটিতে বলা হয়েছে। সর্বোপরী সকল বক্তব্য প্রদানকারী তিন অভিযোগপ্রদানকারী বিদ্যালয়ের পরিচালনা সদস্য আলমগীর চৌধুরী, জেবল হোসেন ও আব্দুল কাইয়ুম। আর অডিট কমিটির আহ্বায়ক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষিকা ফখরের জাহান এর বক্তব্য প্রদান করা হয়নি বলা হয়। কিন্তু ফখরের জাহান তো কোন পক্ষেই কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি কৌশলে উত্তর দেন শুধু আমি বিদ্যালয় নিয়েই চিন্তিত বেশী, আবার রিপোর্টে তাঁর স্বাক্ষরিত অভিযোগাদি নিয়ে ও নীরবতাই পালন করেন। এতে প্রতীয়মান হয় যে প্রধান শিক্ষক / সভাপতি দুই পক্ষেরই চাপের মুখে তিনি। তাই বলা চলে নিরপেক্ষ তদন্ত সময়ের দাবী।
প্রধান শিক্ষকের অসৌজন্যমূলক লিপি অংশের প্রতিবাদ :: ‘ প্রতিকার না পেলে সাইবার ট্রাইবুনালে যেতে বাধ্য থাকিব’ প্রতিবাদ লিপির এমন বক্তব্য কোন আইনজীবি বা কোর্ট ছাড়া শিক্ষা সংস্লিষ্ট একজন ভদ্ররোচিত দায়িত্বশীল ব্যক্তির ব্যবহার যোগ্য শব্দ নয়। খবরিকা কর্তৃপক্ষ আপনার বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করলে ও অন্যজনের আনিত অভিযোগই উত্থাপন করেছেন। আপনার ও বক্তব্য সম্মানজনকভাবে মূদ্রন করেছেন। শুধু তাই নয় আপনার বক্তব্যে সম্মানজনক অবস্থান ধরে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। যাহা আপনি নিবীড়ভাবে পর্যবেক্ষন করেননি হয়তো। আপনার প্রদত্ত এমন শব্দের আইনি হুমকী আইন আদালতের নিয়ম নীতির বিষয়। তবে শিক্ষক হিসেবে অসৌজন্যতা বলে মনে করে খবরিকা সাংবাদিক ইউনিট। তাই এমন বক্তব্যের নিন্দা জানাচ্ছে খবরিকা পরিবার।
পাবলিক রিয়েকশান :: ইতিমধ্যে সর্বসাধারন সহল মন্থব্য করেন বিদ্যালয়ের সভাপতির পদে কি আছে। আর প্রতীয়মান হচ্ছে প্রধান শিক্ষক / সভাপতি দুজনই মোটা অংকের অর্থ ব্যয় করছেন পরস্পর ল্যাং মারামারি নিয়ে। এই অর্থের সূত্র কোথায় ? জনৈক অভিবাবক জানান কেউ মোটা অংকের টাকা দিয়ে প্রধান শিক্ষক জনৈক অভিবাবককে সভাপতির বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে রাতারাতি এতো আইনজীবি / ল-ফার্ম চুক্তি করে সভাপতির পদ ষ্ট্রে করানোর চেষ্টার অর্থের উৎস কোথায় ? আবার আরেক অভিবাবক জানান প্রধান শিক্ষক ইতিমধ্যে মীরসরাই ষ্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় জমি ও কিনেছেন। যদি ও তা ব্যক্তিগত অর্থে ও কিনতে পারেন। আবার সভাপতি ও কেন মরিয়া তাঁর প্রেষ্টিজিয়াস মেটার হিসেবে সভাপতির পদ টিকিয়ে রাখতে উঠে পড়ে লেগেছেন।
শিক্ষা বিভাগ :: মীরসরাই উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হুমায়ুন কবির জানান ইতিমধ্যে আমরা উক্ত বিদ্যালয়ের অনিয়মের বিষয়াদি নিয়ে প্রশাসনিক উদ্যোগ প্রক্রিয়াধিন। আবার সূত্রে জানা গেছে সরকারের বিভিন্ন তথ্য অনুসন্ধানী দপ্তর ও বিষয়টি নিয়ে মাঠে নামবে শীঘ্রই।
সর্বোপরী :: সবশেষে বলতেই হয় অভিযোগারীগনের সকল বক্তব্যের সত্যতা পাওয়া যাবে প্রশাসনিক নিরপেক্ষ তদন্ত হবার পরেই।