ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, ‘রাজধানী ঢাকাসহ যে সমস্ত শহর ভূমিকম্প ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সে সব শহরের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোকে চিহ্নিত করে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেওয়া হবে। এর পর যদি কেউ ওই সমস্ত ভবন বা বাড়িতে বসবাস করতে চান সেটা তারা নিজ দায়িত্বে করবেন। এর দায়িত্ব কেউ বহন করবে না। আর বাসিন্দারা যদি ওই সব বাড়ি ছেড়ে দেন তাহলে কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব নিয়ে সে সব বাড়ি ভেঙ্গে দিবে।’সোমবার বিকেলে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ওয়ার্কশপ অন ডিজাস্টার রিকোভারি প্ল্যানিং’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়, জাপানের ইন্টারন্যাশনাল রিকোভারি প্লাটফর্ম (আইআরপি), ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক রিকোভারি স্টাডিস ফর ডিজাস্টার রেসিলিয়েন্স এ্যান্ড রিসার্স (আইএসআরএসডিআরআর) ও ইউএনডিপি বাংলাদেশ যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।মায়া বলেন, ‘ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবেলা সম্পর্কে জনসাধারণের কাছে তথ্য পৌঁছানোর চেষ্টা করছি। আগামীতে পাঠ্যপুস্তকেও এ সম্পর্কিত একটি অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরুর আগে শিক্ষকরা ২-৫ মিনিট ভূমিকম্পসহ দুর্যোগ মোকাবেলার প্রস্তুতি সম্পর্কে বক্তব্য রাখবেন। এ বিষয়ে শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।’কর্মশালায় ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার কাজের জন্য এক শ’ ৫৯ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনা হবে বলে জানান মন্ত্রী। এছাড়া প্রতিবছর একটি দিনকে ঠিক করে ভূমিকম্প ও দুর্যোগ মোকাবেলা দিবস হিসেবে পালন করা হবে বলেও জানান তিনি।