শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

ভূমধ্যসাগরে জাহাজডুবিতে ৭০০ জনের সলিলসমাধির আশঙ্কা

41698_niger

আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে গত সপ্তাহে সমুদ্রপথে ইউরোপে পাড়ি দেয়ার সময় ৩ দিনে কয়েকটি জাহাজডুবির ঘটনায় ৭০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সবচেয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে মাল্টার সমুদ্র উপকূলে। জাহাজডুবির ওই ঘটনায় ৫০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে ধারণা করছে কর্তৃপক্ষ। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্রাণহানির সংখ্যা ঠিক থাকলে, এ বছর ভূমধ্যসাগরে বোট ও জাহাজডুবিতে মৃতের সংখ্যা ৩ হাজারে দাঁড়াবে। মাল্টা উপকূলে দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ৯ আরোহীর মধ্যে ২ জন জানিয়েছেন, ভূমধ্যসাগরের মাঝপথে আদম পাচারকারীরা জাহাজ পরিবর্তন করতে বলে। আরোহীরা জাহাজ পরিবর্তনে রাজি না হওয়ায় তুমুল বাদানুবাদের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে জাহাজটির সঙ্গে একটি কঠিন বস্তুর সজোরে ধাক্কা লাগে ও ডুবে যায়। কমপক্ষে ৫০০ আরোহী এতে প্রাণ হারিয়েছেন। ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) মুখপাত্র ক্রিস্টিয়ানে বার্থিআউমে বলছিলেন, সিরীয়, ফিলিস্তিনি, মিশরীয় ও সুদানিসহ প্রায় ৫০০ আরোহী ছিলেন ওই জাহাজে। তারা ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। অপর একটি জাহাজ ২৫০ আরোহী নিয়ে লিবিয়ার সমুদ্র উপকূলে ডুবে যায়। ২৬ জনকে এ পর্যন্ত জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ আরোহীদের অধিকাংশই মৃত্যুবরণ করেছেন বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, এর অর্থ গত সপ্তাহে ভূমধ্যসাগরে ৭০০ জনের সলিলসমাধি ঘটেছে। মিশরের দামিয়েত্তে থেকে গত ৬ই সেপ্টেম্বর যাত্রা শুরু করেছিল জাহাজটি এবং গত ১০ই সেপ্টেম্বর এটি মাল্টার সমুদ্র উপকূলে ডুবে যায়। গত শুক্রবার বেঁচে যাওয়া কয়েকজন আরোহীকে উদ্ধার করা হয়। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এ ঘটনা সম্পর্কে অবগত। কিন্তু, কর্মকর্তারা গত শুক্রবার এ জাহাজডুবির তথ্য পেয়েছেন বলে জানান। ইউএনএইচসিআর প্রাণহানির সংখ্যা প্রায় ৩০০ বলে ধারণা করছে। তবে নিশ্চিত করে কোন তথ্য দেয়নি সংগঠনটি। মোট ৫টি জাহাজডুবির ঘটনা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে ইউএনএইচসিআর। গত সপ্তাহে ৩ দিনে কমপক্ষে ৫০০ জন পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করেছেন বা নিখোঁজ রয়েছেন বলে ধারণা করছে ইউএনএইচসিআর। মাল্টায় যে জাহাজডুবির ঘটনা ঘটেছে সেখানে ৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়। উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে। এ জাহাজডুবির ঘটনাগুলোতে যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তার ইতালিতে প্রবেশের মাধ্যমে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। গত বছর যেখানে ৬০ হাজার অবৈধ অভিবাসী ইউরোপে পাড়ি জমিয়েছেন, সেখানে এ বছর এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৩০ হাজার অবৈধ অভিবাসী ইউরোপে পৌঁছেছেন।