এর আগে সকালে বৃষ্টিতে ভিজেই দিল্লিতে দেশটির প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড উপভোগ করেন মোদি ও ওবামা। অনুষ্ঠানে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ও মার্কিন ফার্¯¡ লেডি মিশেল ওবামা উপস্থিত ছিলেন। পরে দুপুরে রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানেও যোগ দেন তারা।
বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিয়ে মোদি অঙ্গীকার করেন, দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যসংক্রান্ত সব জটিলতা খুব শিগগিরই দূর করা হবে। তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির স্বার্থেই এটি জরুরি। অবকাঠামো ও কৃষি খাতে বড় ধরনের বিনিয়োগের জন্য মার্কিন ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ জন্য বাস্তবসম্মত ও প্রতিযোগিতামূলক শুল্ক নির্ধারণ করা হবে। বিনিয়োগকারীদের দেয়া হবে যথাযথ সুবিধা। শুধু তাই নয়, বড় প্রকল্পগুলো নিজেই দেখার অঙ্গীকার করেন মোদি।
মোদি বলেন, সব সমস্যা সমাধানের উপায় হচ্ছে গণমুখী ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা। এ জন্য সরকার আন্তরিকভাবে ও কঠোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ করার জন্য নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। রাষ্ট্রীয় নীতির ক্ষেত্রেও যে অন্তরায়গুলো আছে সেটিও দূর করা হবে।
বারাক ওবামা বলেন, দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। আর আজ যে আয়োজন করা হয়েছে এরও বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। তবে একটি বিষয় স্বীকার করতে হবে যে, ভারতে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এখনও অনেক বাধা রয়েছে। ধারাবাহিকভাবেই নানা অভিযোগ আসে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। ওবামা আরও বলেন, আর শুধু মার্কিন ব্যবসায়ীরাই ভারতে বিনিয়োগ করবে তা নয়, ভারতের ব্যবসায়ীদেরও যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ করতে হবে। ওবামা বলেন, আমরা ভারতের সঙ্গে আরও বেশি বাণিজ্য সুবিধা বিনিময় করতে চাই। তিনি বলেন, মোদির ইন্ডিয়া গড়ার উদ্যোগ এবং আমাদের সঙ্গে আলোচনা বাণিজ্য সহযোগিতার ক্ষেত্রে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করবে।
নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এটাই কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন অনুষ্ঠানে প্রথম। বুলেটপ্র“ফ কাচ দিয়ে ঘেরা একটি স্যালুট ডায়াস থেকে ভারতীয় প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জি ও প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে ভারতীয় সামরিক শক্তির প্রদর্শনী দেখেন ওবামা।