সড়কে চলাচলের অনুমতির দাবিতে চট্টগ্রামের প্রবেশমুখ সিটি গেট এলাকা প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখার পর পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক ও মালিকরা। কয়েক হাজার চালক-মালিক গতকাল সকাল ১০টা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নগরীর সিটি গেট এলাকায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম মনজুর আলমের বাসভবনের সামনের অবস্থান নিতে শুরু করেন। সিটি গেট থেকে কর্নেল হাট পর্যন্ত এলাকায় তাদের এ অবরোধের কারণে বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। সড়কের উভয়পাশে এ সময় দীর্ঘ যানজট তৈরি। দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ যাত্রী ও পথচারীদের। ওই এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকলেও এ সময় তাদের কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। এদিকে বেলা ১২টার দিকে শাহ আমানত সেতু এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক ও মালিকদের একটি মিছিল থেকে যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। এ সময় সেতু এলাকায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে। প্রায় ২০ মিনিট যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। অবরোধ চলাকালে কাট্টলী এলাকায় নিজের বাসায় মেয়র মনজুর আলম সাংবাদিকদের বলেন, এ পর্যন্ত নগরীতে ৭০ হাজার সাধারণ রিকশার লাইসেন্স দিয়েছে সিটি করপোরেশন। কিন্তু ব্যাটারিচালিত রিকশার বিষয়ে আমাদের কোনো এখতিয়ার নেই। এরপর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মেয়রের বাসভবনেই পুলিশ এবং শ্রমিকলীগ নেতাদের উপস্থিতিতে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক ও মালিকদের বৈঠক বসে।