বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

বিয়ে করতে এসে ফেঁসে গেলেন আইনজীবী!

nurul-islam-pic
বিশেষ প্রতিনিধি : মীরসরাইয়ে বিয়ে করতে এসে ফেঁসে গেছেন এক আইনজীবী বর। ফটিকছড়ির ভূজপুর থেকে বর সেজে বিয়ে করতে এসে মীরসরাইয়ে ফেঁসে গেলেন তিনি। ওই আইনজীবীর নাম মাঈন উদ্দিন চৌধুরী। তিনি এর পূর্বে আরও দুটি বিয়ে করেছেন এমন তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ায় কনে পক্ষের লোকজন তাকে এবং তার পরিবারের লোকজনকে আটকে রাখে। পরে শুক্রবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় প্রতারণার দায়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আর্জি নিয়ে তাদেরকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মীরসরাইয়ের দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে।
দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবুল হোসেন জানান, ‘ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানার হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম আধাঁর মানিক গ্রামের প্রবাসী আবুল হোসেন চৌধুরী ছেলে মো. মাঈন উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে দুর্গাপুর গ্রামের এক স্কুল শিক্ষকের কলেজ পড়–য়া মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ের দিনক্ষণ ছিল শুক্রবার দুপুর বেলা। সে হিসেবে বরযাত্রী আত্মীয় স্বজন সকলেই কনে বাড়ির প্রীতিভোজে অংশ নেয়। জুমার নামাজের পর বাড়ির পাশের একটি মসজিদে ধর্মীয় রীতিনীতি অনুযায়ী আক্দও সম্পন্ন হয়। এর কিছুক্ষণ পর ঘটে বিপত্তি। বর মাঈন উদ্দিনের পূর্বের স্ত্রীর স্বজনরা এসে হাজির হন বিয়ে বাড়িতে। তারা জানায়, এর পূর্বে তিনি আরও দুইটি বিয়ে করেছেন। তাদের সাথে আইনি বিষয়াদি শেষ না করে লুকিয়ে এসে মীরসরাইয়ে আরেকটি বিয়ে করছেন। মূলত তিনি একজন প্রতারক। এসব শোনার পর কনের আত্মীয় স্বজন বর মাঈন উদ্দিন ও তার বাবা আবুল হোসেনসহ কয়েকজন বরযাত্রীকে আটকে রাখেন।
শুক্রবার বিকালে বিয়ে বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, কনে পক্ষের লোকজন বাড়ির একটি ঘরের মধ্যে বর এবং বরের স্বজনদের আটকে রেখেছেন। এ সময় কনের বাবা এ প্রতিবেদককে জানান, ‘মাঈন উদ্দিন প্রতারণা করে পূর্বে একাধিক বিয়ে করার বিষয় গোপন করে আমার মেয়ের জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছে। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আল্লাহ্ আমার মেয়েকে বাঁচিয়েছে।’
এ সময় পূর্বের স্ত্রী ফারহানা শিরিনের ভাই ইঞ্জিনিয়ার জামশেদুল ইসলাম এ প্রতিবেদকের হাতে আগের আরও দুইটি বিয়ের কাবিননাম সংক্রান্ত কাগজ দিয়ে বলেন, ‘সে একজন পেশাদার প্রতারক। সে মোট তিনটি বিয়ে করেছে।’
শুক্রবার রাতে দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খোকা জানান, ‘বিষয়টি আমি থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেছি। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শনিবার (৭ মার্চ) বিকাল ৫ টা পর্যন্ত জোরারগঞ্জ থানায় এ বিষয়ে সালিশী বৈঠক চলছে বলে জানা যায়।