নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ বিসিএস ( কৃষি / চিকিৎসা/ ভেটেরেনারী) ক্যাডার এর মতো বিসিএস টেক্সটাইল ক্যাডার এর দাবীতে মীরসরাইয়ের রাজপথে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে জোরারগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এর শিক্ষার্থীরা। রবিবার ( ১৮ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১টায় পুরাতন ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের সম্মুখভাগের জোরারগঞ্জ- নোয়াখালী উপসড়ক সংযোগস্থল ক্যাম্পাসের সামনেই উক্ত মানবন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্টিত হয়। এসময় অন্তঃত ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী তাদের বিভিন্ন দাবী সম্মলিত প্লেকার্ড ও ব্যানার সহ দীর্ঘলাইনে দাড়িয়ে মানববন্ধন করে। দাবী সম্মলিত প্রধানমন্ত্রী সমীপে স্মারকলিপি পাঠ করে ছাত্রনেতৃবৃন্দরা। মানববন্ধন শেষে সমাবেশকালে বক্তব্য রাখেন বিএসসি ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ছালেহ নাসিম, ফয়েজ আহমেদ রেজা, কনিকা আক্তার, মুনতাসির সুয়াইব, খালিদ সাইফুল প্রমুখ। শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্য প্রদানকালে বলে বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারেই ছিল পোশাক ও টেক্সটাইল শিল্পকে আরো শক্তিশালি নিরাপদ সক্ষমতায় উন্নীতকরণ। সরকারের এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য পোশাক ও বস্ত্র শিল্প কর্তৃপক্ষ উক্ত শিল্পের প্রসারে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে, এতে করে গোটা জাতি এখন পৃথিবীর উন্নত বিশ্বে মাথা উঁচু করার সক্ষমতায়। কিন্তু আমাদের সুযোগ্য বস্ত্র প্রকৌশলীরা বঞ্চিত হচ্ছে সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে। অথচ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সরকারি সংস্থায় ও ক্যাডারভুক্ত পদ থাকলে আমাদের প্রকৌশলীরা বিভিন্ন সুযোগসুবিধার পাশাপাশি লাভ করতো নতুন মর্যাদা । যা সরকারের সকল প্রণোদনার উর্দ্ধে উঠে পুরো বস্ত্র বিভাগকে উজ্বীবিত করবে। শিক্ষার্থীরা বলে সরকার কৃষি / চিকিৎসা/ ভেটেরেনারীর মতো বস্ত্র বিভাগকে ও বিসিএস ক্যাডারভুক্ত করার দাবী ন্যায্য ও যৌক্তিক। আর বর্তমান সরকারও বঙ্গবন্ধুর কণ্যার কাছে সোনার বাংলার উন্নয়নের অংশিদার হিসেবে এই দাবীর সহৃদয় বিবেচনা প্রত্যাশা সকলের। উক্ত মানববন্ধন ও সমাবেশ এর দাবী সম্পর্কে উক্ত জোরারগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এর অধ্যক্ষ ঈসমাঈল মোল্লা এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন শিক্ষার্থীদের এই দাবীর সাথে আমরা ও একমত। তিনি বলে এই কলেজে পড়ালিখা করে অনেকে এখন এখানে ও বিভিন্ন বস্ত্র প্রকৌশলের শিক্ষক। কিন্তু মেধা এবং যোগ্যতা থাকা স্বত্বে ও অনেকেই সাধারন মর্যাদা থেকে ও বঞ্চিত। এক্ষেত্রে সরকার যদি শিক্ষার্থীদের এই দাবী মেনে নেন তাহলে সকলের পর্যাদা বৃদ্ধির পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার সমৃদ্ধতায় সকলেই স্বগর্বের অংশীদার হতে সক্ষম হবো আমরা। এসময় অধ্যক্ষ ও অন্যান্য শিক্ষকগন ও শিক্ষার্থীদের উক্ত দাবীর পক্ষে ঐক্যমত প্রকাশ করেন।