বাংলাদেশে সাম্প্রতিককালে তৃতীয় প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবা চালু, ওয়াইম্যাক্স অপারেটরদের ৪জি চালু এবং সরকারের পক্ষ থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করার প্রক্রিয়া শুরু হলেও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট গতিতে বিশ্বের সবার শেষে অবস্থান করছে বাংলাদশ! ‘দ্য স্টে অব দ্য ইন্টারনেট’ শিরোনামে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আকামাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ইন্টারনেট সংযোগের গতির চিত্র তুলে ধরেছে। বাংলাদেশ আর মাদাগাস্কারে ইন্টারনেটের গড় গতি ১ এমবিপিএস। এর নিচে রয়েছে কেবল দুটি দেশ- ক্যামেরুন (০.৮ এমবিপিএস) এবং সবার নিচে লিবিয়া (০.৬ এমবিপিএস)। ফলে বৈশ্বিক র্যাংকিংয়ে এ ক্ষেত্রেও শেষের সারিতেই অবস্থান হয়েছে বাংলাদেশের। ১.৪ এমবিপিএস গড় গতি নিয়ে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতও নাজুক অবস্থাতেই রয়েছে, বৈশ্বিক র্যাঙ্কিংয়ে তাদের স্থান ১২৩তম। তাদের এ প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত বছরের তৃতীয় চতুর্ভাগে বিশ্বব্যাপী ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের গড় গতি ছিল ৩.৬ এমবিপিএস। এক বছরের হিসেবে বিশ্বব্যাপী এই গতি বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। এককভাবে দেশ হিসেবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতিতে শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, যেখানে গড় গতি পাওয়া গেছে ২২.১ এমবিপিএস। দক্ষিণ কোরিয়ায় ইন্টারনেটের এই গতি আগের বছরের তুলনায় ৫০ শতাংশেরও বেশি। গতিতে দ্বিতীয় স্থানে থাকা জাপান অবশ্য বেশ খানিকটা পিছিয়ে রয়েছে কোরিয়ার তুলনায়। জাপানে গড় গতি পাওয়া গেছে ১৩.৩ এমবিপিএস, যা আগের বছরের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেশি। তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে হংকং, যেখানে ব্রডব্যান্ডের গড় গতিবেগ ১২.৫ এমবিপিএস; যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৩৯ শতাংশ বেশি। শীর্ষ দশে স্থান করে নেওয়া বাকি সাতটি দেশ যথাক্রমে নেদারল্যান্ডস (১২.৫ এমবিপিএস), সুইজারল্যান্ড (১১.৬ এমবিপিএস), চেক রিপাবলিক (১১.৩ এমবিপিএস), লাটভিয়া (১১.১ এমবিপিএস), যুক্তরাষ্ট্র (৯.৮ এমবিপিএস), বেলজিয়াম (৯.৭ এমবিপিএস) এবং আয়ারল্যান্ড (৯.৬ এমবিপিএস)। আকামাইয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, মাত্র ৪টি দেশে ইন্টারনেটের গড় গতি ১ এমবিপিএস বা তার নিচে। দুঃখজনক হলেও এই স্তরেই বাংলাদেশের অবস্থান।
উৎস- যুগান্তর