আর মাত্র কয়েক দিন পরই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ১১তম আসর। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিতব্য টুর্ণামেন্টে কিছুটা হলেও সফলতা পেতে চায় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। বিশেষ করে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে টাইগার দলের অসাধারণ পারফর্মেন্স টাইগার দলকে ভাল পারফর্মেন্স করতে উদ্ধুদ্ধ করছে। যেমনটি তারুন্য নির্ভর বাংলাদেশ করেছিল ক্যারিবীয় দ্বিপপুঞ্জে অনুষ্ঠিত ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে।আসন্ন বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে বিবেচনায় থাকা খেলোয়াড়দেরকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন রচনা করেছে টাইগার ক্রিকেট ডট কম।তামিম ইকবাল: টাইগার ক্রিকেট ডট কমের ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রথমেই যার নামটি বেশি আলোচনায় রয়েছে তিনি হলেন বাঁ-হাতি ওপেনার তামিম ইকবাল। টাইগার দলের হয়ে ধারাবাহিক ওপেনার হিসেবে তিনি খেলে আসছেন দীর্ঘ ৭ বছরের ও অধিক সময় ধরে। ২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক পাওয়া এই ওপেনার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের কারণে সবার নজর কেড়েছেন। ইতোমধ্যে তিনি জাতীয় দলের অপরিহার্য্য অংশ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এ পর্যন্ত ১৩৫ টি ওডিআই ম্যাচে অংশ নিয়ে তিনি পৌঁছে গেছেন প্রায় ৪ হাজার রানের কাছাকাছি। যা তাকে পৌঁছে দিয়েছে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের সর্বকালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে। ওই সংগ্রহে পৌঁছানোর পথে তিনি চারটি সেঞ্চুরি ও ২৭টি হাফ সেঞ্চুরির সহায়তা নিয়েছেন। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ দলের হয়ে দু’টি বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে ফেলেছেন তামিম। শুধু তাই নয় ২০১১ বিশ্বকাপে আয়ালল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে সেরার পুরস্কারও লাভ করেছেন টাইগার দলের মারকুটে এই ওপেনিং ব্যাটসম্যান। বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত ১৫টি ম্যাচে অংশ নিয়ে তামিম দু’টি অর্ধশতকসহ সংগ্রহ করেছেন ৩২৯ রান। তন্মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্মরণীয় হয়ে রয়েছে ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি। ভারতীয়দের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় পাওয়া ম্যাচে তামিমের ব্যাট থেকে এসেছিল ৫১ রান।
ইতোমধ্যে নানা চরাই উতরাই পার হয়েছে বাংরাদেশ দলের এই নিয়মিত ওপেনার। ভুগেছেন রান খরায়ও। তবে সবকিছু পেছনে ফেলে সদ্য সমাপ্ত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোম সিরিজের মাধ্যমে রানে ফিরেছেন তামিম। ওপেনিংয়ে নেমে বাংলাদেশের জন্য বড় রান সংগ্রহের মাধ্যমে তিনি নির্ভার করে দিয়েছেন মিডল অর্ডার ও লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের। ঘরোয়া ক্রিকেটেও নিজের ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছেন তামিম। ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়ে দলকে তিনি পৌছে দিয়েছেন সুপার লীগ পর্বে। যে কারণে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার অনুষ্ঠিতব্য ২০১৫ বিশ্বকাপে তামিমের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
এনামুল হক বিজয় : মেধাবি ও বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন ব্যাটসম্যান হিসেবে ইতোমধ্যে দারুণভাবে পরিচিত পেয়েছেন বাংলাদেশ দলের তরুন ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয়। বয়স ভিত্তিক দল থেকে জাতীয় দলে নাম লেখানোর পর থেকেই হুহু করে তিনি ওঠে এসেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট র্যাংকিংয়ের উপরের দিকে। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বিজয়। যেখানে দলের হয়ে সর্বাধিক রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে খেলার শুরু থেকেই ব্যাটসম্যান হিসেবে দক্ষতার পরিচয় দিয়ে আসছেন এনামুল। চলতি বছর যে দু’জন ক্রিকেটার বাংলাদেশ দলের হয়ে ১৮টি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে (ওডিআই) ম্যাচের সবক’টিতে অংশ নিয়েছেন তাদের একজন হচ্ছেন এনামুল। এসময় তিনি দুটি সেঞ্চুরি ও তিনটি হাফ সেঞ্চুরিসহ সংগ্রহ করেছেন ৬৩১ রান। চলতি বছরের শুরুর দিকে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেরা সফলতাটি অর্জন করেছেন বিজয়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ হোম সিরিজে তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেনিংয়ে জুটিবদ্ধ হয়েও তিনি গড়ে তুলেছেন ওপেনিংয়ে দু’টি শতরানের পার্টনারশীপ। শুধু ব্যাট হাতে নয়, ফিল্ডিংয়েও অসাধারণ ক্ষিপ্রতা এনামুলকে পৌঁছে দিয়েছে বর্তমান বাংলাদেশ দলের অপরিহার্য খেলোয়াড়ের তালিকায়। ফলে আসন্ন বিশ্বকাপে তামিমের সঙ্গে এনামুলকেই জুটি হিসেবে বেশি বিবেচনায় রাখা হয়েছে। এতে করে ওপেনিং জুটিতে ডান হাত ও বাঁ হাতের একটি চমৎকার রসায়ন সৃস্টি হবে, যা প্রতিপক্ষ বোলারদের বিপাকে ফেলার জন্য হবে খুবই কার্যকর। এবার যদি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ঠাঁই পায় তাহলে এটিই হবে এনামুলের জন্য প্রথম বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ।
ইমরুল কায়েস : ২০১১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের অপরিহার্য্য খেলোয়াড় ছিলেন বাঁ-হাতি স্টাইলিস্ট ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস। শুধু তাই নয়, ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেক লাভ করার পর থেকেই তিনি হয়ে ওঠেছিলেন টাইগার দলের ওপেনিংয়ের অপরিহার্য্য অংশ। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তামিমের সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে ওপেনিংয়ে তিনি টপ অর্ডারকে সবসময় সরল পথে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তবে টপ অর্ডারে বিকল্প হিসেবে ব্যাটিং করার সময় তার স্বভাবগত শান্তভাব মাঝে মাঝেই ক্যারিয়ারকে বিপন্ন করেছে। কিন্তু সংকট কাটিয়ে তিনি বার বার নির্বাচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন এবং গত কয়েক বছর ধরে বার বার জাতীয় দলে ফিরে এসেছেন। বিশ্বকাপের ম্যাচে একটি ম্যাচ সেরার পুরস্কারও রয়েছে ইমরুল কায়েসের ঝুড়িতে। ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে সেরার পুরস্কার লাভ করেন ইমরুল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) আয়োজিত সর্ববৃহৎ টুর্ণামেন্টে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতাও তার একটি বড় সম্পদ। যা জাতীয় দলের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তবে ইমরুলের ক্যারিয়ারের বড় ব্যর্থতা হচ্ছে ধারাবাহিকতার অভাব। সর্বশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলে ফেরা ইমরুলের তৃতীয় অবস্থানেও ব্যাটিং করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। প্রথম পছন্দের দুই ওপেনিং ব্যাটসম্যানের ব্যাক আপ খেলোয়াড় হিসেবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডগামী জাতীয় দলে ঠাঁই পেতে পারেন ইমরুল।
সামসুর রহমান: আগ্রাসী ব্যাটিং এবং কব্জির মোচড়ে প্রতিপক্ষের বোলারদের নাস্তানাবুদ করার ক্ষমতাসম্পন্ন ডান হাতি এই ব্যাটসম্যান বাংলাদেশ দলের এজন নতুন সংযোজন। ২০১৩ সালে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যাটিং স্ফুলিংঙ্গ ছড়িয়ে সবার দৃষ্টি কাড়েন সামসুর রহমান। তবে গত দুটি বছর তার সময় কেটেছে বাংলাদেশ দলে প্রবেশ ও বের হওয়ার মধ্য দিয়ে। ওয়ানডের চেয়ে টেস্ট ম্যাচে তার পারফর্ম বেশি ভাল হয়েছে। এ পর্যন্ত ওডিআই ক্যারিয়ারে ১০ ম্যাচে খেলে তিনি দু’টি হাফ সেঞ্চুরির মালিক হয়েছেন। তবে দারুণ মেধা থাকা সত্ত্বেও তিনি একঝলক আলো ছড়িয়ে পরক্ষণে কোথায় যেন হারিয়ে যান। যে কারণে বিশ্বকাপের মত মেগা টুর্ণামেন্টে তার সুযোগ পাবার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। তবে যদি সুযোগ পান, তাহলে টপ অর্ডারে যেকোনো মুহূর্তে ঝলসে ওঠতে পারেন। যে কারণে তাকেঁ মোকাবিলার জন্য প্রতিপক্ষ দলগুলোকে সম্ভবত আলাদাভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
ইতোমধ্যে নানা চরাই উতরাই পার হয়েছে বাংরাদেশ দলের এই নিয়মিত ওপেনার। ভুগেছেন রান খরায়ও। তবে সবকিছু পেছনে ফেলে সদ্য সমাপ্ত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোম সিরিজের মাধ্যমে রানে ফিরেছেন তামিম। ওপেনিংয়ে নেমে বাংলাদেশের জন্য বড় রান সংগ্রহের মাধ্যমে তিনি নির্ভার করে দিয়েছেন মিডল অর্ডার ও লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের। ঘরোয়া ক্রিকেটেও নিজের ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছেন তামিম। ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়ে দলকে তিনি পৌছে দিয়েছেন সুপার লীগ পর্বে। যে কারণে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার অনুষ্ঠিতব্য ২০১৫ বিশ্বকাপে তামিমের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
এনামুল হক বিজয় : মেধাবি ও বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন ব্যাটসম্যান হিসেবে ইতোমধ্যে দারুণভাবে পরিচিত পেয়েছেন বাংলাদেশ দলের তরুন ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয়। বয়স ভিত্তিক দল থেকে জাতীয় দলে নাম লেখানোর পর থেকেই হুহু করে তিনি ওঠে এসেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট র্যাংকিংয়ের উপরের দিকে। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বিজয়। যেখানে দলের হয়ে সর্বাধিক রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে খেলার শুরু থেকেই ব্যাটসম্যান হিসেবে দক্ষতার পরিচয় দিয়ে আসছেন এনামুল। চলতি বছর যে দু’জন ক্রিকেটার বাংলাদেশ দলের হয়ে ১৮টি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে (ওডিআই) ম্যাচের সবক’টিতে অংশ নিয়েছেন তাদের একজন হচ্ছেন এনামুল। এসময় তিনি দুটি সেঞ্চুরি ও তিনটি হাফ সেঞ্চুরিসহ সংগ্রহ করেছেন ৬৩১ রান। চলতি বছরের শুরুর দিকে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেরা সফলতাটি অর্জন করেছেন বিজয়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ হোম সিরিজে তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেনিংয়ে জুটিবদ্ধ হয়েও তিনি গড়ে তুলেছেন ওপেনিংয়ে দু’টি শতরানের পার্টনারশীপ। শুধু ব্যাট হাতে নয়, ফিল্ডিংয়েও অসাধারণ ক্ষিপ্রতা এনামুলকে পৌঁছে দিয়েছে বর্তমান বাংলাদেশ দলের অপরিহার্য খেলোয়াড়ের তালিকায়। ফলে আসন্ন বিশ্বকাপে তামিমের সঙ্গে এনামুলকেই জুটি হিসেবে বেশি বিবেচনায় রাখা হয়েছে। এতে করে ওপেনিং জুটিতে ডান হাত ও বাঁ হাতের একটি চমৎকার রসায়ন সৃস্টি হবে, যা প্রতিপক্ষ বোলারদের বিপাকে ফেলার জন্য হবে খুবই কার্যকর। এবার যদি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ঠাঁই পায় তাহলে এটিই হবে এনামুলের জন্য প্রথম বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ।
ইমরুল কায়েস : ২০১১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের অপরিহার্য্য খেলোয়াড় ছিলেন বাঁ-হাতি স্টাইলিস্ট ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস। শুধু তাই নয়, ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেক লাভ করার পর থেকেই তিনি হয়ে ওঠেছিলেন টাইগার দলের ওপেনিংয়ের অপরিহার্য্য অংশ। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তামিমের সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে ওপেনিংয়ে তিনি টপ অর্ডারকে সবসময় সরল পথে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তবে টপ অর্ডারে বিকল্প হিসেবে ব্যাটিং করার সময় তার স্বভাবগত শান্তভাব মাঝে মাঝেই ক্যারিয়ারকে বিপন্ন করেছে। কিন্তু সংকট কাটিয়ে তিনি বার বার নির্বাচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন এবং গত কয়েক বছর ধরে বার বার জাতীয় দলে ফিরে এসেছেন। বিশ্বকাপের ম্যাচে একটি ম্যাচ সেরার পুরস্কারও রয়েছে ইমরুল কায়েসের ঝুড়িতে। ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে সেরার পুরস্কার লাভ করেন ইমরুল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) আয়োজিত সর্ববৃহৎ টুর্ণামেন্টে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতাও তার একটি বড় সম্পদ। যা জাতীয় দলের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তবে ইমরুলের ক্যারিয়ারের বড় ব্যর্থতা হচ্ছে ধারাবাহিকতার অভাব। সর্বশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলে ফেরা ইমরুলের তৃতীয় অবস্থানেও ব্যাটিং করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। প্রথম পছন্দের দুই ওপেনিং ব্যাটসম্যানের ব্যাক আপ খেলোয়াড় হিসেবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডগামী জাতীয় দলে ঠাঁই পেতে পারেন ইমরুল।
সামসুর রহমান: আগ্রাসী ব্যাটিং এবং কব্জির মোচড়ে প্রতিপক্ষের বোলারদের নাস্তানাবুদ করার ক্ষমতাসম্পন্ন ডান হাতি এই ব্যাটসম্যান বাংলাদেশ দলের এজন নতুন সংযোজন। ২০১৩ সালে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যাটিং স্ফুলিংঙ্গ ছড়িয়ে সবার দৃষ্টি কাড়েন সামসুর রহমান। তবে গত দুটি বছর তার সময় কেটেছে বাংলাদেশ দলে প্রবেশ ও বের হওয়ার মধ্য দিয়ে। ওয়ানডের চেয়ে টেস্ট ম্যাচে তার পারফর্ম বেশি ভাল হয়েছে। এ পর্যন্ত ওডিআই ক্যারিয়ারে ১০ ম্যাচে খেলে তিনি দু’টি হাফ সেঞ্চুরির মালিক হয়েছেন। তবে দারুণ মেধা থাকা সত্ত্বেও তিনি একঝলক আলো ছড়িয়ে পরক্ষণে কোথায় যেন হারিয়ে যান। যে কারণে বিশ্বকাপের মত মেগা টুর্ণামেন্টে তার সুযোগ পাবার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। তবে যদি সুযোগ পান, তাহলে টপ অর্ডারে যেকোনো মুহূর্তে ঝলসে ওঠতে পারেন। যে কারণে তাকেঁ মোকাবিলার জন্য প্রতিপক্ষ দলগুলোকে সম্ভবত আলাদাভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।