বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

বিমানের ডিজিএমসহ গ্রেফতার ৫ জন চার দিনের রিমান্ডে

c8jq6xq5 copy_176402
স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ডিজিএমসহ গ্রেফতার পাঁচজনের প্রত্যেককে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার ঢাকা সিএমএম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ এরফান উল্লাহ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে  গ্রেফতার পাঁচজনের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।মঙ্গলবার রাতে উত্তরা ও বসুন্ধরায় অভিযান চালিয়ে স্বর্ণ চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। তারা হলেন, বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট সার্ভিসের ডিজিএম ইমদাদ হোসেন, চিফ অব প্লানিং অ্যান্ড সিডিউলিং ক্যাপ্টেন আবু মো. আসলাম শহিদ ও সিডিউলিং ম্যানেজার মো. তোজাম্মেল হোসেন, বিমানের ঠিকাদার মাহমুদুল হক পলাশ ও মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ।গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করে স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগ রয়েছে আটকদের বিরুদ্ধ। ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে প্রায় প্রতিদিনই সোনার চালান ধরা পড়ছে। এসব ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ কেউ জড়িত থাকার সন্দেহ ছিল পুলিশের। বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের দায়িত্বে থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কারো সহযোগিতা ছাড়া চোরাচালান সম্ভব নয় বলেও ধারণা করেছিল পুলিশ। এই চক্রের সঙ্গে আরো কয়েকজন কেবিন ক্রু জড়িত বলে তথ্য আছে পুলিশের হাতে। তবে পুরোপুরি নিশ্চিত হয়েই তাদের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে চায়।মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, গত ১২ নভেম্বর বিমানের একটি ফ্লাইট থেকে সোনা উদ্ধারের পর মাজহারুল আফসার নামের এক কেবিন ক্রুকে আটক করা হয়। তিন দিনের রিমান্ডে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালানো হয়। তিনি জানান, মূলত শফিউল আজম নামের এক ব্যক্তি দুবাই থেকে চোরাচালানের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করেন। আর পলাশ এ কাজের সমন্বয় করতেন।মনিরুল জানান, ঠিকাদার পলাশ বেশ প্রভাবশালী। তাকে ভোরে গ্রেফতার করা হয়।  আমাদের কাছে তথ্য আছে, সে স্বর্ণ চোরাচালানের সাথে জড়িত। তথ্যগুলো যাচাই বাছাই করে দেখা হবে।বিমান বালা থেকে শুরু করে বিমানের বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজনের নাম এসেছে তাদের তদন্তে। পলাশের স্ত্রী নিজেও একজন বিমানবালা।বিমানবন্দর কাস্টমসের কেউ এতে জড়িত কি না জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, যার যার নাম আসবে সকলকেই আইনের আওতায় আনা হবে। গ্রেফতারকৃতরা ছাড়াও এ চক্রের সাথে জড়িত আরো বেশ কিছু নাম এসেছে। এগুলো যাচাই বাছাই করে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।