বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ষষ্ঠ আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট চলছে। রোববার রাজধানীর পাঁচতারকা হোটেল র্যাডিসন ব্লুতে বেলা ১২টায় শুরু হয় এ নিলাম। তাতে দল পেয়েছেন ব্যাটিং সেনসেশন মোহাম্মদ আশরাফুল। তাকে কিনেছে চিটাগাং ভাইকিংস।
এবারের ড্রাফটে বি ক্যাটাগরিতে ছিলেন আশরাফুল। তার ভিত্তিমূল্য ছিল ১৮ লাখ টাকা। সেই অর্থেই তাকে ডেরায় ভিড়িয়েছে চট্টলার দলটি। ড্রাফট শুরু হওয়ার পর ৬টি কল হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তখন পর্যন্ত কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিই লিটল মাস্টারকে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেনি। শেষ পর্যন্ত ৭ম কলে ‘আশার ফুলকে’ নেয় চিটাগাং।
২০১৩ সালে বিপিএলে ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে আট বছর নিষিদ্ধ হন আশরাফুল। আপিলের পর সেই সাজা কমে দাঁড়ায় পাঁচ বছর। ২০১৬ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরলেও বন্ধ ছিল জাতীয় দল ও বিপিএলের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্টের দরজা। অবশেষে গেল ১৩ আগস্ট সেই দরজাও খুলেছে।
নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি শেষে আশরাফুল জানান, তার লক্ষ্য ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলা। সেই লক্ষ্যে আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন বাংলাদেশ সাবেক অধিনায়ক।
অবশ্য নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে প্রথম মৌসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি আশরাফুল। তবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে নিজের সর্বশেষ মৌসুমে দুর্দান্ত খেলেছেন তিনি। হাঁকিয়েছেন পাঁচটি সেঞ্চুরি। পাশাপাশি লিস্ট এ ক্রিকেটে বেশ ধারাবাহিক ছিলেন। গেল দুই মৌসুমে ২৩টি ৫০ ওভারের ম্যাচে তার ব্যাটিং গড় ৪৭.৬৩।
কিন্তু প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সেই ধারাবাহিকতা ছিল না সর্বকণিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ানের। গত দুই মৌসুমে ১৩টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে তার ব্যাটিং গড় মাত্র ২১.৮৫।
চিটাগং ভাইকিংস: সিকান্দার রাজা, লুক রঞ্চি, মুশফিকুর রহিম, নজিবুল্লাহ জাদরান, সানজামুল ইসলাম, রবি ফ্রাইলিংক, নাইম হাসান, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, আবু জায়েদ রাহি, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, ক্যামেরুন দেলপোর্ট, দাসুন সানাকা, মোহাম্মদ আশরাফুল, রবিউল হক।