Thursday, December 12Welcome khabarica24 Online

বাংলাদেশ ইস্যুতে মোদিকে চ্যালেঞ্জ

22068_x5

বিজেপি থেকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদিকে উন্মুক্ত চ্যালেঞ্জ ছুটলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন, বাংলাদেশী অভিবাসীদের বিতাড়নের আগে মোদির উচিত প্রথম আমাকে বিতাড়িত করা। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ইস্যুতে মোদির দেয়া হুমকির পাল্টা জবাব দিলেন তিনি। বারে বারে বাংলাদেশী বিতাড়নের কথা বলে নরেন্দ্র মোদি যেভাবে বাংলার মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছেন সেজন্য মোদিকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন মমতা। এই প্রশ্নে তৃণমূল কংগ্রেসের মতই কড়া অবস্থান নিয়ে মোদির বক্তব্য খতিয়ে দেখার জন্য নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে আবেদন জানিয়েছেন সিপিআইএম নেতা বিমান বসু। গত রোববার বাঁকুড়ার তামলি বাঁধ স্টেডিয়ামের জনসভায় মোদি ফের আরেকবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে আগত উদ্বাস্তুরা এদেশে স্বাগত- কিন্তু অবৈধ অভিবাসীদের ফিরে যেতেই হবে। একই সঙ্গে ভোট ব্যাংকের রাজনীতির প্রসঙ্গ তুলে মোদি তৃণমূল নেত্রীকে এক হাত নিয়েছেন। গত সপ্তাহে শ্রীরামপুরের সভায় মোদি বলে গিয়েছিলেন, ১৯৪৭ সালের পরে যারা ভারতে এসেছেন, তারা বাক্স-পেটরা বেঁধে রাখুন। ১৬ই মে-র পরে তাদের বাংলাদেশে ফিরে যেতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখনই মোদির বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ তুলছিলেন। তবে রোববার বাঁকুড়ায় জনসভায় মোদির ফের আরেকবার হুঁশিয়ারি দেয়ার পর এদিন সন্ধ্যায় কৃষ্ণনগরে এক জনসভায় মমতা ক্রুদ্ধ ভঙ্গিতে বলেন, বাংলার একটা মানুষের গায়ে হাত তুলতে দেবো না! নির্বাচন কমিশনকে বলবো, তাকে গ্রেপ্তার করুক। কোমরে দড়ি দিয়ে নিয়ে যাক! এই ব্যক্তি রাজনীতিতে শোভা পায় না! তৃণমূল নেত্রী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, আমি এখনও বলছি, একটা লোকের গায়ে হাত দিয়ে দেখুক। কে উদ্বাস্তু, কে অনুপ্রবেশকারী, তা তুমি বলার কে? এরা সবাই নাগরিক। বাংলাদেশের যুদ্ধের আগে এসেছে। বাংলার বাইরে থেকে এসে এ কথা কেউ বলতে পারে না। মমতা জানান, তিনি কমিশনকে জানাবেন মোদিকে গ্রেপ্তার করার জন্য। তার কথায়, যে ঘৃণা ছড়াচ্ছে, হিংসায় উস্কানি দিচ্ছে, তাকে ইমিডিয়েট কোমরে দড়ি দিয়ে জেলে পাঠানো উচিত। আসামের বোড়ো অঞ্চলে মুসলিমদের গণহত্যার ঘটনার জন্যও মমতা মোদিকেই দায়ী করেছেন। এদিকে সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসুও মোদির কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে এসে মোদি যে ভাষায় কথা বলছেন, তা ভয়ঙ্কর! তার বক্তব্য নির্বাচন কমিশনের খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। বসু’র অভিযোগ, কিছু ভোটের জন্য মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি করছেন মোদি।