মনে আছে কি সেই ১৭ মাস বয়সী লুকাস ক্লার্কের কথা? যে শিশুটি ২০১৩ সালের জুন মাসে মারা যায়। তার মায়ের নাম হিথার ক্লার্ক।
শিশু ক্লার্কের দেহে প্রাণ না থাকার পরও নিজের দেহের অঙ্গ-প্রতঙ্গ দিয়ে বাঁচিয়ে গিয়েছিলেন তিনজনের প্রাণ। তার দেহ দিয়ে বাঁচিয়ে যাওয়াদের মধ্যে একজন ফিনিক্সের জর্ডন ড্রেক। লুকাসের থেকে একমাসের বড় জর্ডন তখন জন্মগত হার্টের সমস্যা নিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
অ্যারিজোনা প্রদেশের এক অঙ্গ প্রতিস্থাপন সংস্থার জনসংযোগ আধিকারিক জ্যাকলাইন কিদেল যোগাযোগ করিয়ে এই দুই পরিবারের সঙ্গে। লুকাসের হৃদয় প্রতিস্থাপন করানো হয় জর্ডনের শরীরে। সেই অসাধ্য সাধিত হওয়ার আড়াই বছর পর এখন জর্ডন আর পাঁচটা বাচ্চার মতো স্বাভাবিকভাবেই জীবন কাটাচ্ছে।
এদিকে আড়াই বছর পর বেঁচে যাওয়া জর্ডন ড্রেকের কাছে ছুটে আসেন মা হিথার ক্লার্ক। তিনি জর্ডন ড্রেকের বুকে ছেলের হৃৎস্পন্দন শোনার জন্য ছুটে এসেছিলেন ৬০০ মাইল পেরিয়ে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ফিনিক্সে।
হিথার ক্লার্ক জর্ডন ড্রেকের বুকে স্টেথোস্কোপ লাগিয়ে তা নিজের কানে গুঁজতে কিঞ্চিত দ্বিধাবোধ করছিলেন তিনি। আশেপাশে তখন ক্যামেরা তাক করে প্রস্তুত চিত্রগ্রাহকেরা।
হিথার ক্লার্ক খুব ধীরে ধীরে কানে লাগালেন স্টেথোস্কোপ। শুনতে পেলেন হৃদপিণ্ডের ধুকপুকানির আওয়াজ। পাশে থাকা বালিকা জর্ডনে ড্রেকের মা এস্থার গোঞ্জালেজ ফিসফিস করে কানের কাছে বললেন, ‘এটা তোমার ছেলের হৃৎস্পন্দনের শব্দ’।
মুহূর্তের মধ্যেই মুখে হাত দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন হিথার। একবছর পর এই প্রথমবার নিজের গর্ভে ধারণ করা ছেলের হৃৎস্পন্দন শুনলেন তিনি। জানিয়ে দিলেন, মা হওয়ার পর এটিই তার জীবনের শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত।
– See more at: http://www.eurobdnews.com/international/16203/———-#sthash.lSDym2yg.dpuf