বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

বসুন্ধরা সিমেন্ট ক্রিকেটে টেস্টের পর ওয়ানডেতেও বাংলাওয়াশ

image_157642.199855

 

বসুন্ধরা সিমেন্ট পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে ১২৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে পাঁচ উইকেট খুঁইয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল টাইগাররা। এরই মাধ্যমে জিম্বাবুয়েকে ৫-০ তে বাংলাওয়াশের স্বাদ দিল বাংলাদেশ। এর আগে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার তালিকায় যুক্ত হন সাকিব আল হাসান। দলীয় ৫৮ রানের মাথায় ব্যাক্তিগত শূন্য রানে পানিয়াঙ্গারার বলে মাসাকাদজাকে ক্যাচ দেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। মুশফিকুর রহিম রান করেন ১১। তাকে ফিরতে হয় চাতারার বলে। সবচেয়ে ভালো করেছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তিনি শেষ বলে চার মেরে অর্ধশতক পূর্ণ করে ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন। সাব্বির অপরাজিত ১৩ রানে ক্রিজে থেকে যান।সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেতে ১২৯ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ের উদ্বোধন করতে আসেন তামিম ইকবাল এবং এনামুল হক বিজয়। সৌম্য সরকার আউট হন ২০ রান করে।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে চাতারা তিনটি ও পানিয়াঙ্গারা দুটি করে উইকেট নেন।বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডে অভিষেকে হ্যাটট্রিক করার অনন্য কৃতিত্ব দেখান তাইজুল। একাদশ ওভারে মাশরাফি বিন মুর্তজার জায়গায় বল করতে আসেন তাইজুল। নিজের প্রথম স্পেলে পাঁচ ওভার বল করে মাত্র ১১ রান দেন তিনি। দ্রুত রান তুলতে থাকা হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও ভুসি সিবান্দাকে মোটেও সহজে রান করতে দেননি তিনি।
২৭তম ওভারে দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেন তাইজুল। প্রথম বলে সলোমন মায়ারকে এলবিডব্লিউ করে নিজের প্রথম উইকেট নেন তিনি। সেই ওভারের শেষ বলে টিনাশে পানিয়াঙ্গারাকে বোল্ড করে নিজের দ্বিতীয় উইকেটটি নেন তিনি। তাইজুলের পরের ওভারের প্রথম বলে জন নিউম্বু এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়লে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি হয়।পরের স্লগ সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান টেন্ডাই চাটারা। উল্লাসে মেতে উঠে স্বাগতিকরা। উদযাপনে পিছিয়ে ছিলেন না গ্যালারিতে থাকা ভক্তরাও। তাইজুলের অসাধারণ এই হ্যাটট্রিক বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে চতুর্থ আর সব মিলিয়ে ৩৬তম হ্যাটট্রিক।২০০৬ সালের ২ অগাস্ট জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করেন শাহাদাত হোসেন।