নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেছেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার। সরকার শিক্ষার গুণগতমান ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই বিতরন সরকারের এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে বিভিন্ন বিভাগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার। জেলা কেন্দ্রীক কম্পিউটার ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা ও স্কুল কলেজে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু করেছে। আগামীতে আরো স্কুল–কলেজ আধুনিকায়ন এবং অবকাঠামো উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাবে। গতকাল ১৬ ফেব্রুয়ারি দিনব্যাপী উপজেলার মসজিদিয়া জব্বারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শতবর্ষ উদ্যাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান কালে তিনি এই সব কথা বলেন। ১ম অধিবেশনে সকাল সাড়ে ১০টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শতবর্ষ উদ্যাপন পরিষদ এর সভাপতি এমডি. এম. মহিউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং উদ্যাপন পরিষদ সম্পাদক মাহফুজুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ক্লিফটন গ্রুপ এর চেয়ারম্যান এমডি.এম. কামাল উদ্দিন চৌধুরী । বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য প্রদান করেন চট্টগ্রামের ম্যাধমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এর সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর এ. জে. এম শহিদুল্লাহ্, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি শেখ আতাউর রহমান, খৈয়াছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদ ইকবাল চৌধুরী, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল করিম প্রমুখ।
২য় অধিবেশনে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি কাজী ইমাম উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাইফ উদ্দিন ফরহাদ ও রোকসানা আক্তার লিপি যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রধান করেন ক্লিফটন গ্রুপ এর চেয়ারম্যান এমডি.এম. কামাল উদ্দিন চৌধুরী । বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সামস উদ দোহা, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য রেহানা বেগম চৌধুরী (ফেরদৌস), শতবর্ষ উদ্যাপন পরিষদ এর সভাপতি এমডি. এম. মহি উদ্দিন চৌধুরী, নোয়াখালী সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ সামছুদ্দিন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল কাইয়ূম নিজামী, রাঙ্গামাটি সরকারী কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ফেরদৌস কবির প্রমুখ। সকালে শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, স্মৃতিকথন, বিভিন্ন গুণীজন সংবর্ধনা এবং “উৎসের সন্ধানে” নামক একটি স্মরণিকা প্রকাশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।