সংলাপের আহ্বান জানানো নাগরিক সমাজের একাংশের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীকে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ করে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, একটা শ্রেণি যে কোনো মূল্যে ক্ষমতা দখল করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। তারা উসকানির মাধ্যমে সেনাবাহিনী দিয়ে ক্ষমতা দখল করতে চায়। তারা জানে না, বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী কারো অবৈধ ক্ষমতা দখল করার সুযোগ নেই।‘সেনাবাহিনীও এখন আগেরকার মত (জিয়া, এরশাদ আমল) নেই, তারা এখন দেশপ্রে “সেনাবাহিনী গণতন্ত্র ও দেশ রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করছে। এখনকার সেনাবাহিনী দেশপ্রেমিক, এরা আগেকার সেনাবাহিনীর মত নয়।”শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের হল রুমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘চলমান রাজনীতি বিএনপি-জামায়াতের হিংসাত্নক কার্যকলাপের প্রতিবাদ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সেনাবাহিনী দেশপ্রেমিক। যারা অতীতে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে, এখনকার সেনাবাহিনী ওইরকম না। কোনো অবস্থাতেই তাদের মধ্যে ফাটল ধরবে না।২০ দলের সঙ্গে সংলাপের কথা নাকচ করে দিয়ে কামরুল বলেন, পশুর সাথে সংলাপ হতে পারে না। কাদের সাথে সংলাপ, কিসের সংলাপ? যারা অপরাধ করে চলেছে এবং সেই অপরাধে যারা সহযোগিতা করে চলেছে তাদের দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিচর করা হবে।
সুশীল সমাজের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বর্তমান নাগরিক কমিটি হল পরগাছা। এরা মাঠে নেমেছে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংলাপের কথা বলার জন্য।আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়ে ঢাকায় ১০ জন লোকও জড়ো করতে পারেননি খালেদা জিয়া। এ ‘ব্যর্থতার’ দায় নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোট নেত্রীর পদ থেকে খালেদা জিয়াকে সরে দাঁড়ানো উচিত।হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের প্রধান সমস্যা খালেদা জিয়া। খালেদাকে ছাড়লেই বিএনপি মানুষের কাছে যেতে পারবেনি।রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসনে ‘উদ্বিগ্ন নাগরিকদের’ পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রতি সংলাপে বসার যে আহ্বান জানানো হয়েছে তারও সমালোচনা করেছেন হাছান মাহমুদ।তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “দয়া করে সংলাপের কথা বলবেন না। আপনারা বিএনপির সঙ্গে সংলাপের কথা বলে তাদের সন্ত্রাসে উৎসাহ যোগাচ্ছেন। বরং বিএনপির এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন। ২০১৯ সালের আগে মান্না সাহেবদের আশা পূরণ হবে না।